দেওয়ানবাগ শরিফের প্রতিষ্ঠাতা ও স্বত্বাধিকারী সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা (দেওয়ানবাগী পীর) আজ সোমবার সকাল ৬টা ৪৮ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন। ১৯৪৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামে জন্ম নেন সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী।
দেওয়ানবাগী পীরের মৃত্যুর সংবাদ শুনে তাঁর অনুসারীরা মতিঝিলে দেওয়ানবাগ শরিফে আসতে শুরু করেছেন। দেওয়ানবাগ শরিফের গণমাধ্যম সমন্বয়কারী সৈয়দ মেহেদী হাসান জানান, দেওয়ানবাগ শরিফের প্রতিষ্ঠাতা ও স্বত্বাধিকারী সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা পীর সাহেব মারা যাওয়ায় প্রচুর ভক্ত আসতে শুরু করেছেন।
আজ সকাল পৌনে ৭টার দিকে তিনি নিজ বাসায় স্ট্রোক করেন। পরে ইউনাইটেড হাসপাতালে নিলে ডাক্তার তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃতদেহ আরামবাগে নেওয়া হয়।
জানা গেছে, দেশের নানা প্রান্ত থেকে ভক্তরা ছুটে আসছেন। পীরের মৃত্যুর পর থেকেই দরবার শরীফের আশপাশে ভক্তরা ইতিমধ্যে জমায়েত হয়েছেন।
দেওয়ানবাগ দরবার শরিফের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্যানুযায়ী, দেওয়ানবাগী পীরের নাম মাহবুব-এ-খোদা। তবে তিনি ‘দেওয়ানবাগী’ নামে পরিচিত। ১৯৪৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম সৈয়দ আবদুর রশিদ সরদার। মা সৈয়দা জোবেদা খাতুন। ছয় ভাই দুই বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট। নিজ এলাকার তালশহর কারিমিয়া আলিয়া মাদরাসা থেকে ফাজিল পর্যন্ত পড়াশোনা করেন।
ফরিদপুরে চন্দ্রপাড়া দরবারের প্রতিষ্ঠাতা আবুল ফজল সুলতান আহমেদ চন্দ্রপুরীর হাতে বায়াত গ্রহণ করেন দেওয়ানবাগী পীর। এরপর তার মেয়ে হামিদা বেগমকে বিয়ে করেন দেওয়ানবাগী। এর সুবাদে শ্বশুরের কাছ থেকে খেলাফত লাভ করেন।
তার কিছুদিন পর নিজেই নারায়ণগঞ্জে দেওয়ানবাগ নামক স্থানে একটি আস্তানা গড়ে তোলেন এবং নিজেকে সুফি সম্রাট পরিচয় দিতে থাকেন মাহবুব-এ-খোদা। আস্তে আস্তে তার অনুসারী বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে মতিঝিলের ১৪৭ আরামবাগে স্থায়ী দরবার গড়ে কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন দেওয়ানবাগী।