থার্টি ফার্স্ট নাইটে বন্ধ থাকবে শিমুলিয়া ঘাটের সকল হোটেল রেস্তোরাঁ। ফেরি ঘাটের যানজট এড়াতে ও যাত্রী সাধারণ যাতে নিরাপদে পার হতে পারে সে জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুধু থার্টি ফার্স্ট নাইটই নয় প্রয়োজনে পরের দিন শুক্রবারও রেস্টোরেন্টগুলো বন্ধ রাখা হবে। বিগত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের দিন শিমুলিয়া ঘাটে ইলিশ খেতে পর্যটকদের ভিড় জমে। এতে রেস্টেুরেন্টগুলোর সামন থেকে যানজটের সৃষ্টি হয়, যা কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। এতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হন। এসব বিষয় মাথায় রেখে সোমবার লৌহজং উপজেলা মাসিক আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এরকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া সড়ক ও জনপথের মাওয়া-লৌহজং-বালিগাঁও সড়কটির দু’পাশের বড় বড় কড়ই গাছের ডাল-পালা ঝুলে পড়ে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণে হয়ে পড়েছে। এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। কোথাও কোথাও গাছপালা উল্টে পড়ে থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এগুলো অপসারণ না করায় সভায় ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এ সকল গাছপালা কেটে ফেলতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগের বিষয়ে আলোচনা হয়। উপজেলা বন কর্তকর্তাকে তার কার্যালয়ে পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি এখানে অফিস না করায় সভায় তার ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্মকতারদের অবহিত করে ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যাপারে আলোচনা হয়।
লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হুমায়ূন কবিরের সভাপতিত্বে অন্যন্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. ওসমান গণি তালুকদার, লৌহজং থানার ওসি আলমগীর হোসাইন, বিক্রমপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. মাসুদ খান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিনা ইসলাম, বিআরডিবি চেয়ারম্যান মনির হোসেন মাস্টার, কনকসার ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, সাংবাদিক ঝিলু প্রমুখ।