গত কয়েকদিন ধরে দেশজুড়ে শুধু একটাই আলোচনা চলছে। স্ত্রীর সামনে স্বামীকে খুন। আর তাও দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখল শ খানেক লোক। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসল না। এ নিয়ে উত্তাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। রিফাত শরীফের (২২) মৃত্যুর ঘটনায় দেশজুড়ে চলছে শোকের মাতম।

রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী ও রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাত ৯টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

সর্বশেষ পাওয়া সংবাদ অনুযায়ী, রিফাত শরীফ হত্যা মামলা ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছে আদালত। বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. সিরাজুল ইসলাম গাজী এ জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।

এদিকে রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডে জড়িত পলাতক আসামিদের গ্রেফতার ও দ্রুত বিচার আইনে মামলা নিষ্পত্তি করে তাদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন নিহত রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ।

আজ রবিবার (২১ জুলাই) দুপুরে বরগুনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তিনি। এসময় রিফাতের বাবা ছাড়াও তার মা ও পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে মিন্নির প্রথম বিয়ের তথ্য গোপন করায় তার মা-বাবাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান রিফাতের বাবা।

দুলাল শরীফ অভিযোগ করেন, একটি কুচক্রী মহল মামলাকে ক্ষতিগ্রস্ত করা, বিচারিক কাজে বাধা সৃষ্টি এবং খুনের আসামিদের রক্ষা করতে উঠেপড়ে লেগেছে। তাই মামলাটি দ্রুত বিচার আইনে নিষ্পত্তি এবং মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক চার আসামিকে দ্রুত গ্রেফতার করে ফাঁসির দাবি জানান তিনি।

তিনি বলেন, গত বছরের ১৫ অক্টোবর মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ডের সঙ্গে মিন্নির বিয়ে হয়েছিল। মিন্নির বাবা তা গোপন করে মেয়েকে পারিবারিকভাবে তার ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে প্রতারণা করেছেন। মূলত সে কারণেই এ নৃশংস হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে। তাই এ ঘটনায় মিন্নির মা-বাবাকেও গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

এর আগে বরগুনা প্রেস ক্লাবের সামনে একই দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে রিফাতের মা-বাবাসহ পরিবারের সদস্যরা বক্তব্য দেন।

উল্লেখ্য, গত ২৬ জুন রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এই মামলায় এখন পর্যন্ত ১৫ জন আসামি গ্রেফতার হয়েছে। যাদের মধ্যে ১৪ জন হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।