সোমবার দিবাগত মধ্যরাতে গান ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে বসেছিলেন। নিজের ভেরিফায়েড পেইজে একশ্রেণির দর্শকদের ওপর আক্ষেপ থেকে এই ঘোষণা দিয়ে বসেন কলকাতার সা রে গা মা পা খ্যাত মাইনুল আহসান নোবেল। কিন্তু সকালে সেই পোস্ট আর তাঁর পেইজে পাওয়া যায়নি। নোবেলের সেই পোস্টে  কী ছিল, যার কারণে মুছে ফেলতে হলো? এমন প্রশ্ন অনেকের মনেই জাগতে পারে।

মূলত কিছুদিন আগে নানা ধরনের পোস্ট দিয়ে বিতর্ক তৈরি করেছিলেন সম্ভাবনাময় এ গায়ক। এরপর তাঁর ভক্তরাই সমালোচনা করতে থাকেন। সেই সমালোচনার প্রভাব প্রকাশ করলেন। নোবেল লিখেছেন, ‘এগারোটা মাস দুই বাংলার মানুষকে বিনোদন দেওয়ার প্রতিদান তোমরা ভালোই দিলে আমাকে। মাত্র ২৩ বছর বয়সে বিয়ে করে, সংসার এবং চার দেয়ালের চাপে কিছু ভুল স্টেটাস দিয়েছি। এই তো আমার দোষ। ভাবছি গান-বাজনা ছেড়েই দেব।’  

দর্শক-শ্রোতারা চান না নোবেল গানে থাক, এমনটা নোবেল নিজেই অনুমান করেছেন। যার কারণে গানের বিষয়টিকে ফুল স্টপ করে দিয়ে লিখে ফেললেন,  ‘এতেই তো তোমরা খুশি? তবে তা-ই হোক। ভালো থেকো বাঙ্গালী।’ 

আনুমানিক রাত আড়াইটায় নোবেল ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার পরপরই প্রচুর প্রতিক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। নোবেলের শেষ কয়টা বাক্য সুস্পষ্ট বিদায়সূচক। যার কারণে যারা সত্যিই নোবেলের গানে আসক্ত, ভক্ত তারা দ্বিধায় পড়ে যান। অনেকেই নোবেলকে এমন পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে বলছিলেন। কিন্তু সেসব প্রতিক্রিয়ার উত্তর নোবেল দেননি। তবে সকালে নোবেলের সেই স্ট্যাটাস আর ভেরিফায়েড পেইজে পাওয়া যায়নি।

গত বছরের মাঝামাঝি বাংলাদেশের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পীদের ‘হেয়’ করে মন্তব্য করেছিলেন নোবেল। পরে এ নিয়ে বিভিন্নজনের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন। র‍্যাবও তাঁকে ডেকে নেয়। যেখানে তিনি বলেন, নিজের আসন্ন গান ‘তামাশা’র প্রচারে এমনটা করেছেন। সে যাত্রায় ক্ষমা চেয়ে র‍্যাবের কাছে লিখিত দিয়ে আসেন তিনি।

তবে সম্প্রতি নোবেলের কণ্ঠে মুক্তি পাওয়া অভিনয় নামের একটি গান মুক্তি পেয়েছে। গত মাসের শেষ ভাগে মুক্তি পাওয়া মাত্র অল্প কটি গানের মধ্যে অন্যতম গ্রহণযোগ্য গান ছিল নোবেলের এই গান। সাউন্ডটেকের ব্যানারে মুক্তি পাওয়া এই গানের সুর ও সংগীত করেছিলেন আহমেদ হুমায়ূন। এই গান মুক্তি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই মনে করেছিলেন, নোবেল ফের স্বরূপে ফিরছেন। তাঁর প্রতিভার বিচ্ছুরণ দেখাবেন। কিন্তু সোমবার দিবাগত মধ্যরাতে হাঠাৎ প্রশ্ন তৈরি করে দিলেন।