মাত্র তিন সপ্তাহের ব্যবধানে দেশের বাজারে ফের স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। বুধবার থেকে ভরিতে ১ হাজার ১৬৬ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি-বাজুস।
এর ফলে সবচেয়ে ভালো মানের স্বর্ণ এখন ৫৩ হাজার ৩৬৩ টাকায় বিক্রি হবে। বুধবার থেকে নতুন দর কার্যকর হবে।
বাজুসের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার কারণে স্থানীয় বাজারে স্বর্ণের দর বাড়ানো হয়েছে।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে ৫ বছরের মধ্যে স্বর্ণের দর সর্বোচ্চ উচ্চতায় অবস্থান করছে। ৫ বছর আগে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দর ছিল ১ হাজার ৫০ ডলার। এক বছর আগে ছিল ১ হাজার ১৭৩ ডলার। আজ (বুধবার, ২৩ জুলাই) সেই স্বর্ণের দর ১ হাজার ৫০০ ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
তিনি বলেন, গত ১৫ দিনে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দর ৫০ ডলার (৪ হাজার টাকার বেশি) ডলার বেড়েছে। আমরা সেখানে ১ হাজার টাকার টাকার কিছু বেশি বাড়িয়েছি।
তারপরও বাংলাদেশে স্বর্ণের দর ‘সবচেয়ে কম’ বলে দাবি করেন আগরওয়ালা।
নতুন দর অনুযায়ী, বুধবার থেকে সারা দেশে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সবচেয়ে ভালো মানের (২২ ক্যারেট) স্বর্ণ ৫৩ হাজার ৩৬৩ টাকায় বিক্রি হবে। ২১ ক্যারেট স্বর্ণ বিক্রি হবে ৫১ হাজার ৩০ টাকায়। ১৮ ক্যারেট স্বর্ণের দাম হবে ৪৬ হাজার ১৪ টাকা।
মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট সোনা ৫২ হাজার ১৯৬ টাকায় বিক্রি হবে। ২১ ক্যারেট স্বর্ণ বিক্রি হবে ৪৯ হাজার ৮৬৪ টাকায়। ১৮ ক্যারেট স্বর্ণ বিক্রি হয় ৪৪ হাজার ৮৪৮ টাকায়।
এ হিসাবে ২২, ২১ এবং ১৮ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ১৬৬ টাকা করে বেড়েছে।
তবে সনাতন পদ্ধতির সোনার দামে কোনো হেরফের হয়নি। আগের ২৬ হাজার ৮২৭ টাকা ভরিতেই বিক্রি হবে এই স্বর্ণ।
ঘটা করে স্বর্ণ করমেলা করার পর ৪ জুলাই সর্বশেষ সোনার দর বাড়িয়েছিল বাজুস। সেবার ভালো মানের স্বর্ণ ভরিতে ২ হাজার টাকার বেশি বাড়ান হয়েছিল।
সাড়ে চার মাস পর ১৩ জুন ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার দিন প্রতি ভরি ভালো মানের স্বর্ণের দাম দেড় হাজার টাকা বাড়িয়েছিল বাজুস। কিন্তু তার চার দিন পরই দাম কমিয়ে আগের অবস্থায় ফেরত নেওয়া হয়।
এরপর জুন মাসের শেষে প্রথমবারের মতো স্বর্ণ করমেলার আয়োজন করা হয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর এবং বাজুস এ মেলার আয়োজন করে।
মেলায় ব্যবসায়ীদের হাতে থাকা অপ্রদর্শিত প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ হাজার টাকায় বৈধ করার সুযোগ ছিল। কিন্তু তাতে খুব একটা ভালো সারা পাওয়া যায়নি।