চট্টগ্রাম ব্যুরো
ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে ছদ্মবেশে অপহরণ করে ১০ লক্ষ টাকা দাবি করেন, না হয় ক্রসফায়ার দেওয়ার হবে বলে ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি করেন। এই অভিযোগে ৬ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেন। মামলায় গ্রেফতার হওয়া পুলিশ সদস্যের মধ্যে ছয়জন সবাই চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সদস্য। প্রত্যেকের দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর বেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শহিদুল্লাহ কায়সারের আদালত, শুনানি শেষে এ আদেশ দেওয়া হয় ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ পরিদর্শক (প্রসিকিউশন) মোঃ হুমায়ন কবির।
এই ছয় পুলিশ সদস্য হলেন-১/ কনস্টেবল মোঃ আব্দুল নবী,২/ কনস্টেবল মোঃ এসকান্দর হোসেন,৩/ কনস্টেবল মোঃ মনিরুল ইসলাম,৪/ কনস্টেবল মোঃ শাকিল খান,৫/ কনস্টেবল মোঃ মাসুদ, ৬/ কনস্টেবল মোঃ মোর্শেদ বিল্লাহ। এঁরা সবাই চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) এসএএফ শাখায় কর্মরত। জেলা পুলিশ ( প্রসিকিউশন) পরিদর্শক হুমায়ুন কবির বলেন, ‘চাঁদাবাজির মামলায় ৬ পুলিশ সদস্যের প্রত্যেকের সাতদিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন আনোয়ারা থানা পুলিশ। আদালত শুনানি শেষে তাদের প্রত্যেকের দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
জানা গেছে এই পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা করেন আনোয়ারার বৈরাগ গ্রামের বাসিন্দা আবদুল মান্নান। এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ছয়জন পুলিশ কনস্টেবল কে নগরীর একে খান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেন আনোয়ারা থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ।
অভিযোগকারী আব্দুল মান্নান বলেন ৩ ফেব্রুয়ারি রাত ২টার দিকে চারটি মোটরসাইকেল নিয়ে ৮ জন ব্যক্তি আমার বাড়িতে এসে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে আমাকে তুলে নিয়ে যায়।তারপর মাঝ পথে গিয়ে এঁরা আমার চোখ বেঁধে পটিয়ার ভেল্লাপাড়া সেতুর পূর্ব পাশে কৈয়গ্রাম রাস্তার মাথায় নিয়ে যায়। সেখানে যাওয়ার পরে তারা আমার চোখ খুলে দিয়ে জানায়, যে আমার নামে ডিবিতে অভিযোগ আছে। মোঃ মান্নান কে বলেন তোকে অভিযোগ থেকে নাম কাটাতে হলে ১০ লাখ টাকা লাগবে। পরে আমি আমার আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে ফোনে কথা বলে তাদের কাছ থেকে ১ লক্ষ ৮০ হাজার ৫০০ টাকা এনে তাদের হাতে দেওয়া হয়। তারপর এরা আমাকে ফেলে রেখে তারা চলে যায়।