ছোটপর্দার দুই মুখ নাঈম-নাদিয়া। দর্শকদের নিকট যুগল কিংবা আলাদা আলাদাভাবে দুজনই বেশ জনপ্রিয় ২০১৬ সালের ১৫ জানুয়ারি বিয়ে করেছেন তারা। মজার ব্যাপার হলো তাদের বিয়ে হয়েছে হঠাৎ করে। বিয়ের আগে শোনা যায়নি তাদের প্রেম নিয়ে কোনো গুঞ্জন। তাই তাদের ভালোবাসার গল্পটা একটু অন্যরকমই বটে।
নাইম-নাদিয়ার পরিচয়টা অনেক দিনের। তবে মনের ভেতর একে অপরকে আবিষ্কার করার বিষটি ঘটেছে ২০১৫ সালের মাঝামঝি সময়ে।
প্রথম পরিচয়ের বিষয়টি খুলে বললেন নাঈম, ‘অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী নাদিয়ার সঙ্গে পরিচয় অনেক দিন থেকে। অনেকের মতো তার নাচ ও অভিনয় আমরও ভালো লাগতো। তবে নতুন করে তার সঙ্গে পরিচয় হওয়া গত বছর। নাজনীন হাসান চুমকী আপার পরিচালনায় একটি নাটকে অভিনয় করতে গিয়ে নাদিয়াকে নতুনভাবে আবিষ্কার করা। আমি সেই নাটকে তার কো-আর্টিস্ট ছিলাম। মনের আদান-প্রদান সেখানেই। পরবর্তী দায়িত্ব নিয়েছেন বাবা।
নাজনীন হাসান চুমকীর পরিচালনায় একটি নাটকে অভিনয় করতে গিয়ে নাদিয়াকে নতুনভাবে আবিষ্কার করেন নাঈম। সেই নাটকে তার সহ-অভিনেতা ছিলেন নাঈম। মনের আদান-প্রদান সেখানেই। পরে তাদের এক করার দায়িত্ব নেয় দুই জনের পরিবার।
বিয়ের আগে নাঈম-নাদিয়ার প্রেম নিয়ে তেমন একটা গুঞ্জন শোনা যায়নি। হঠাৎ করেই ২০১৬ সালের ১৫ জানুয়ারি গুলশান ক্লাবে তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। বিয়েতে দুই শিল্পীর পরিবারের সদস্য, স্বজন ও সহকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
নাঈম গণমাধ্যমকে বললেন, ‘আমরা যে অনেক দিন প্রেম করে বেড়িয়েছি বিষয়টি কিন্তু সেই রকম নয়। আমাদের ভালোলাগার ব্যাপারটি বাড়িতে জানানোর পর পারিবারিকভাবেই বিয়ের দিকে এগিয়েছি আমরা। আমার বাবা নাদিয়ার আম্মুর কাছে আমার বিয়ের প্রস্তাব পাঠায়। তারাই আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে আমাদের বিয়ের ব্যবস্থা করেছেন।’
তাদের দুজনের ভালোসার এসব গল্প এবার সামনা সামনি দর্শকদের সামনে নাঈম-নাদিয়া দম্পতি। এটিএন বাংলায় ভালোবাসা দিবসের বিশেষ অনুষ্ঠান ‘ভালোবাসার গল্প’ শিরোনামের একটি অনুষ্ঠানে জনপ্রিয় তারকা দম্পতি হাজির হয়ে বলেন তাদের ভালোবাসা নিয়ে। তাদের আলাপচারিতায় উঠে আসে ভালোবাসার বিভিন্ন দিক। শ্রাবণ্য তৌহিদার উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সেলিম দৌলা খান। প্রচার হবে ভালোবাসা দিবসে সন্ধ্যা ৬টা ২০মিনিটে।