নিজস্ব প্রতিবেদক

মাসুদুজ্জামান মাসুম পারিবারিক ভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত মুজিব আদর্শের একজন একনিষ্ঠ কর্মী। পিতা মরহুম মজিবুর রহমান নামেই শুধু মিল নয়, ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর আদর্শে আদর্শিত একজন নিবেদিত প্রাণ আওয়ামীলীগার ।

যুদ্ধ বিধ্বস্ত তৎকালীন বুড়িচং ভারেল্লা এলাকার প্রথম ও প্রধান আওয়ামীলীগ রাজনৈতিক সংগঠকদের অন্যতম একজন। জাতির পিতা শেখ মুজিবের ডাকে ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় এলাকার মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করে ভারতে প্রশিক্ষনের জন্য প্রেরন করেনে তিনি। একারনেই পাকবাহিনী ও স্থানীয় রাজাকাররা তার সমগ্র বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছিল। যুদ্ধকালীন সময়ে এই মুজিবুর রহমান কে হত্যার জন্য অসংখ্যবার হামলাও করেছিল পাক দোসর বাহিনীর লোকজন। ৬০এর দশক থেকে ৭৫পর্যন্ত কংশনগর বাজারে তার নিজস্ব দোকানের একটিতে আওয়ামিলীগের দলীয় কার্যালয় ছিল। ৭৫ পরবর্তী সময়েও সেই দোকানেই চলতো আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকান্ড। যেখানে নিয়মিত আড্ডা ছিলো আওয়ামী লীগের বর্তমান ও তৎকালীন নেতা আউয়াল সাহেব, প্রফেসর খোরশেদ আলম, কাজী জহিরুল কাইয়ুম, এডভোকেট আফজাল খান, আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, আব্দুল আজীজ খান, সেরাজুল হক বাচ্চু মিয়া, অধ্যক্ষ ইউনুস, আব্দুল মতিন খসরু, আবুল বাসার চেয়ারম্যান , আবুল হাসেম খান, সাজ্জাদ হোসেন সহ অনেক নেতৃবৃন্দের। এখান থেকেই জেলা আওয়ামীলীগের রাজনীতি পরিচালনা করা হতো অনেকটাই ।

বুড়িচং উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য হিসেবে নিবেদিত নেতা ছিলেন মরহুম মজিবুর রহমান। স্কুল জীবন থেকেই শুরু নৌকার মিছিল, মূলত পিতার রাজনৈতিক আদর্শ আওয়ামী লীগের প্রতি পিতার ভালোবাসা ও রাজনৈতিক কর্মকান্ড থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে পথ চলা শুরু। স্নো-বল আইসক্রিম এর স্বত্বাধিকারী কংশনগর ইউনিক হাসপাতালের ডিরেক্টর একজন উদ্যোক্তা ও সফল ব্যবসায়ী মাসুদুজ্জামান মাসুদ, ১৯৯১ সালে স্থানীয় ছাত্রলীগের প্রথমিক সদস্য পদ লাভ করে। ১৯৯৭ সালে ভারেল্লা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহন করেন। ২০০৩ সালে কুমিল্লা (দ:) জেলা ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য নির্বাচিত হন। নিজ রাজনৈতিক কর্মগুনে সাংগঠনিক দক্ষতায় ২০০৪ সালে উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০১৫ সালে ভারেল্লা উত্তর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ কমিটির সদস্য পদ লাভ করেন। ইউপি ওয়ার্ড থেকে শুরু করে ইউনিয়ন ও উপজেলা আওয়ামিলীগের সকল রাজনৈতিক কর্মসূচীতে প্রত্যক্ষ ভূমিকার কারনে স্থানীয় আওয়ামিলীগ নেতা কর্মীদের কাছে পরিচিত প্রিয় একটি মুখ মাসুদুজ্জামান। স্থানীয়ই নয় জেলা এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সকল কর্মসূচীতেই সরব অবস্থান তার।

এমপি আব্দুল মতিন খসরুর অনুপ্রেরণায় এএসসিতে স্টার মার্ক অর্জনকারী মেধাবী ছাত্র মাসুদুজ্জামান মাসুম ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে এমএসএস শেষ করে ব্যবসা ও রাজনীতিতে মনোনিবেশ করেন। এলাকার যুব ও তরুণ প্রজন্মের কাছে তিনি নিজের পরিচিতি তুলে ধরেছেন ভিন্ন আঙ্গিকে। একজন ক্রিড়া সংগঠক হিসেবে কাজ করছেন দীর্ঘদিন ধরেই। মাদক থেকে আগামী প্রজন্ম কে দুরে রাখতে খেলাধুলা সহ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা দিয়ে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। আর যে কারনেই এলাকার তরুণ প্রজন্মের প্রিয়মুখ হয়ে উঠেছেন “মাসুম ভাই”। কংশনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের আজীবন দাতা মাসুদুজ্জামান রাজনৈতিক কর্মকান্ডের পাশাপাশি নির্দলীয় সামাজিক কাজেও যার অংশগ্রহণ সমান তালে। স্থানীয় সামাজিক বিভিন্ন রক্তদাতা সংগঠন, বহুমূখি সমবায় সমিতি, ব্যবসায়ী সংগঠন সহ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির আজীবন সদস্য তিনি। বুড়িচংয়ের ভারেল্লা উত্তর ইউনিয়বাসী ও অবহেলিত গ্রামীণ জনপদের বৈপ্লবিক উন্নয়নের লক্ষে হাল ধরতে চান ভারেল্লা ইউনিয়ন পরিষদের। এলাকাবাসীর অনুরোধে আসন্ন ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী মাসুদুজ্জামান মাসুম জানান, ” রাজনীতির সাথে জড়িত হওয়ার মূল উদ্দেশ্য ও লক্ষ হলো এলাকার সুষম উন্নয়নের মাধ্যমে মানুষের ভালোবাসা অর্জন। নেতা হয়ে নয় নিজেকে জনতার সেবক হিসেবে বিবেচনা করে তাদের হৃদয় স্থান করে নিতে চাই। রাজনৈতিক পদ পদবী বা ক্ষমতার ক্ষনস্থায়ী জোরে এর অপব্যবহার নয়। সম্পূর্ণ দুর্নীতি মুক্ত থেকে স্বচ্ছতার সাথে এলাকাবাসীর কল্যাণে কাজ করবো। মানুষ, মানবতা এলাকার কল্যাণে অনুকরণীয় কিছু করতে মেধার সর্বোচ্চ ব্যবহার করবো। ভারেল্লা উত্তর ইউনিয়ন কে সারাদেশে একটি মডেল ইউনিয়ন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। অসামাজিক ও অসাম্প্রদায়িক কর্মকাণ্ড মুক্ত গ্রামীণ অবকাঠামোয় শহুরে রুপ দিতে সকল কে সাথে নিয়ে স্বাধ্যের মধ্যে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করার স্বপ্ন বুকে লালন করি। সকল কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতার পাশাপাশি জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে, দলমতের উর্ধ্বে থেকে ইউনিয়নের সকল নাগরিককে ডিজিটাল সেবা তাদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার প্রত্যশা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত গ্রাম হবে শহর এই শ্লোগান কে বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ ভুমিকা রাখবো। মহান আল্লাহ চাইলে এলাকার সকলের সহযোগীতা, দোয়া ও সমর্থন অব্যাহত থাকলে মুখের কথায় নয় আমি কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করে দেব ইনশাআল্লাহ।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) সুত্রে জানা যায়, মে মাসের মাঝামাঝি সারা দেশে বড় পরিসরে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভোট শুরু হবে। এপ্রিলের ৭ তারিখে আরেক দফা পৌরসভা নির্বাচন হবে। একইসঙ্গে কিছু ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন হবে। কয়টি পৌরসভা ও ইউপিতে ভোট করা যায় তা পর্যালোচনা করে ১৭ ফেব্রুয়ারি কমিশন সভায় বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে। তবে রমজানে নির্বাচন হবে না। মার্চ মাসেও কোনো নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। কারণ, ভোটার তালিকা তৈরি করা, সেটা চূড়ান্ত করা, তালিকার সিডি করে প্রার্থীদের দেয়া; এ সব কাজে এক মাস সময় লাগবে।’ সামনের নির্বাচনগুলো সুষ্ঠু ও সংঘাতমুক্ত হবে বলে আশা প্রকাশ করে সিইসি। দেশে প্রায় সাড়ে চার হাজার ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। পাঁচ বছর আগে ২০১৬ সালে ২২ মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত ছয় ধাপে ৪ হাজারেরও বেশি ইউনিয়ন পরিষদে ভোট হয় দলীয় দলীয় প্রতীকে। এবারও দলীয় প্রতীকেই ভোট হবে বলে সিইসি জানিয়েছেন। নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় গ্রামের পাড়া মহল্লায় চা দোকানেও আলোচনা সরগরম কে হচ্ছেন পরবর্তী চেয়ারম্যান। আর এরই মাঝে সম্ভব্য ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীরা নিজ নিজ এলাকায় প্রচার প্রচারণার পাশাপাশি শুভেচ্ছা পোষ্টার সহ ব্যনার লাগানো শুরু করে দিয়েছেন। কর্মী সমর্থকদের নিয়ে সভা সমাবেশ আর সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোতে তাদের সরব উপস্থিতিই বলে দিচ্ছে নির্বাচন আসন্ন। এর ব্যতিক্রম নয় বুড়িচংয়ের ভারেল্লা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ এলাকাও।

আওয়ামী লীগের একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশীদের পাশাপাশি বিএনপি দলীয় কয়েকজন রয়েছে আলোচনায়। আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মাঝে মাসুদুজ্জামান মাসুম সহ বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রব, ইস্কান্দার আলী ও কাউছারের নাম শোনা যাচ্ছে। তবে বিএনপি’র ইউপি নির্বাচন না করার ঘোষণায় আলোচনায় থাকা ২জন শেষ পর্যন্ত নির্বাচন করবে কিনা তা নিয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। এছাড়াও অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেও আলোচনায় রয়েছে কয়েকজন।