মোঃ শহিদুল ইসলাম, তুরাগ থানা প্রতিনিধি

জয়নব বেগম এর মেয়ের নাম সামিয়া আক্তার, পাতালিয়া বকুলতলা এলাকার আবদুল সফুরের মেয়ে সামিয়া স্থানীয় শাহাজামাল উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী। মঙ্গলবার সকালে শহরের মনিরাজপুরমোড় এলাকার একটি মেহগনি ও আকাশি গাছের বাগান থেকে সামিয়ার লাশ উদ্ধার করে সদর থানা পুলিশ। সামিয়ার মা জয়নব বেগম জানান সাত মাস আগে শহরের কাচারি পাড়া এলাকার মৃত দুলালমিয়ার ছেলে জনির সাথে সে পালিয়ে যায়। এলাকা বাশি স্থানীয় থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ খোজ খবর নিয়ে জানতে পারে শহরের ফুলবাড়িয়া মুন্সী পাড়া গ্রামে নুরুল ইসলামের বাড়িতে আছে সামিয়া। নুরুল ইসলামের স্ত্রী সাজেদা বেগম সামিয়াকে মেয়ে বানিয়ে তাদের কাছে রেখে দেন।

জনিও সেই বাড়িতে যাতায়াত করতো। মনিরাজপুর থেকে সামিয়ার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ, সংবাদ পেয়ে সামিয়ার মা হাসপাতালের মর্গে এসে মেয়ে সামিয়ার লাশ শনাক্ত করেন। সামিয়া যে বাড়িতে থাকতো সে বাড়ির গৃহকর্তা নুরুল ইসলাম জানান সাত মাস আগে সামিয়াকে আমার বাড়িতে আশ্রয় দেই। সে বলেছে যে, তার পরিবার তাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। সামিয়ার মা তার বাড়িতে আশতেন। নুরুল ইসলামের স্ত্রী সাজেদা বেগম জানান সামিয়া কাল বিকালে ওষুধ কেনার জন্য বের হয়ে আর বাড়ি ফেরেনি। আমরা অনেক খোজাখুজি করেও তার কোনো সন্ধান পাইনি। তার বাড়িতে ফোন করেছি বিষয়টি জানিয়েছি আজ দুপুরে বাড়িতে পুলিশ আসার পর জেনেছি যে, সামিয়ার ফাঁসিতে ঝুলন্ত লাশ মনিরাজপুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সামিয়ার প্রেমিক জনির বড় ভাই টনি জানান আমার ভাই ১৮ বছর ধরে পেশায় ট্রাক ড্রাইভার। জনির সাথে প্রেমের সম্পর্কের দাবি নিয়ে সাত মাশ আগে সামিয়া আমাদের বারিতে আশে। জনিকে সে বিয়ে করতে চায়, আমরা সামিয়ার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করি এবং পুলিশকে খবর দেই। পুলিশ সামিয়াকে উদ্ধার করে তার বাড়িতে পৌঁছে দেন। এর পর জনির সাথে তার কোন সম্পর্ক ছিলনা বলে জানি। জামালপুর সদর থানার ওসি মোহাম্মদ রেজাউল ইসলাম খান জানান লাশ উদ্ধারের পর প্রাথমিক তদন্তে ঐ কিশরির পরিচয় পাওয়া যায়। কিশরির মা জয়নব বেগম মর্গে এসে সামিয়ার লাশ শনাক্ত করেন।