বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল ও হাওর অঞ্চলসহ যেসব জেলার কৃষক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের কাছ থেকে কৃষিঋণ আদায় না করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কৃষিঋণ বিভাগ এ সংক্রান্ত এক নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষিঋণ গ্রহীতারা কোনো প্রকার ‘ডাউন পেমেন্ট’ ছাড়াই ঋণ পুনঃতফসিল করতে পারবেন। একই সঙ্গে কোনো ধরনের জমা ছাড়াই নতুন ঋণ সুবিধা নিতে পারবেন।
এ ছাড়াও নতুন করে কোনো সার্টিফিকেট মামলা না করার পাশাপাশি আগের মামলার তাগাদা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে ব্যাংকগুলোকে।
প্রজ্ঞাপনে উত্তরাঞ্চল ও হাওরাঞ্চলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যাংকগুলোকে পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এর মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলোতে কৃষকদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠে কৃষি উৎপাদন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখার জন্য ফসল, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে প্রকৃত চাহিদা ও বাস্তবতার নিরিখে নতুন ঋণ বিতরণ করতে বলা হয়েছে।
এতে আরো বলা হয়, বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কৃষিঋণ আদায় স্থগিত থাকবে। একই সঙ্গে, সহজ কিস্তি আদায়ের মাধ্যমে ঋণ নিয়মিত করাসহ ডাউন পেমেন্ট ছাড়াই ঋণ পুনঃতফসিলীকরণ সুবিধা দিতে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।বন্যা-কৃষিঋণ-বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের থেকে ঋণ আদায়
ব্যাংকের নির্দেশনা অনুসারে, দায়েরকৃত সার্টিফিকেট মামলাগুলোর তাগাদা আপাতত বন্ধ রেখে সোলেনামার মাধ্যমে মামলার নিষ্পত্তি করতে হবে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা যাতে প্রকৃত চাহিদা মোতাবেক যথাসময়ে নতুন ঋণ সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন এবং ঋণ পেতে কোনো রূপ হয়রানির শিকার না হন সে বিষয়ে তদারকি করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পুনর্বাসনের জন্য বসতবাড়ির আঙিনায় হাঁস-মুরগি ও গবাদি পশুপালন, গো-খাদ্য উৎপাদন ও ক্রয় এবং অন্যান্য আয় উৎসারী কর্মকাণ্ডে ঋণ প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের বিষয়ে ঋণ-সংক্রান্ত বিষয়ে কী কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্ধারিত ছকে জানাতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।