শনিবার (৬ মার্চ) রাত ৮টায় রাজধানীর পান্থপথে অবস্থিত ইউনিভার্স সেমিনার রুমে ওই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে তপন কুমার সরকারকে আহ্বায়ক এবং ডা: অসিত কুমার মজুমদারকে সদস্য সচিব করা হয়।
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ, ঢাকা মহানগর উত্তর আওতাধীন শেরে বাংলা থানা কমিটির ধারাবাহিক কার্যক্রম অক্ষুন্ন রাখার লক্ষে এক সাধারণ সভার মধ্য দিয়ে পূর্বের থাকা মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত করে ২৩ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে।
এছাড়া আহবায়ক কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন
অনুপ কুমার বড়ুয়া ( জিকু), অমল কুমার চক্রবর্তী, সুশীল কুমার সমদ্দার, বিষ্ণুপদ সূত্রধর ( রাতুল), সুভাষ বৈরাগী,মায়া চিসিম, তাপস কুমার সরকার,সৈকত কুমার সাহা, চন্দন কুমার চৌধূরী,আলপনা রানী সিংহ ,মিহির ভৌমিক, বিমল বিশ্বাস,মিঠুন দে, ডা: কৃষ্ণা ঘোষ,রাজু মজুমদার,নিলাময় মজুমদার,হিলারী সাঙমা,শিমুল শর্মা, বিধান ঢালী, মৃত্তিকা সাহা রুপা, বীরবল সরকার।
উক্ত ২৩ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ, ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অতুল চন্দ্র মন্ডল এবং সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার রায় শিশির।
আলোচনা সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ,তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা শাখার সভাপতি সন্তোষ দাশগুপ্ত, তেজগাঁও থানার সাধারণ সম্পাদক সুবিনয় সাহা, রতন কুমার প্রসাদ, অশ্রু রায়, সমীর রায়, রাহুল দাস, সত্যেন্দু মজুমদার, পলাশ চন্দ্রধর।
উল্লেখ্য,১৯৮৮ সালের জুন মাসে বাংলাদেশের সংবিধানের অষ্টম সংশোধনীর মধ্য দিয়ে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা করার পরপর -ই দেশের ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার রক্ষা করতে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ প্রতিষ্ঠিত হয়। দলনিরপেক্ষ এই সংগঠনটি ১৯৮৮ সালে ঢাকায় অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল চিত্ত রঞ্জন দত্ত প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে ১৯৯০ সালে উত্তর আমেরিকার বাংলাদেশী ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুরা নিউ ইয়র্কে ঐক্য পরিষদের একটি শাখা খোলেন। ২০০৫ সালে টরন্টোতে কানাডিয়ান শাখা গঠন করা হয়েছিল। এটি ফ্রান্সের মত ইউরোপীয় দেশগুলিতেও এর শাখা রয়েছে।