ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে মতিঝিল এলাকায় বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার ৩০ জনের দুই দিন করে রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। শুক্রবার ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরার আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

এদিন গ্রেপ্তারকৃত ৩১ আসামিদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এসময় মতিঝিল থানায় করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের ১০ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেন।

অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ৩০ জনের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তবে একজন আসামি অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তার রিমান্ড শুনানি শিশু আদালতে অনুষ্ঠিত হবে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাংলাদেশ ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. নুরুল হকের (নুরু) নেতৃত্বে গ্রেপ্তার ও পলাতক আসামিসহ অজ্ঞাত অনেকে পল্টন মডেল থানাধীন কস্তুরি হোটেলের গলি থেকে হঠাৎ একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে সোয়া ১২টার দিকে শাপলা চত্বরের পশ্চিম পাশে অবস্থান করেন।

এ সময় অবস্থানকারীরা বেআইনিভাবে জনতাবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিভিন্ন ধরনের সরকারবিরোধী উসকানিমূলক ও অবমাননাকর স্লোগান দিতে থাকেন এবং রাস্তা বন্ধ করে জনগণের ভোগান্তির সৃষ্টি করেন। একপর্যায়ে তাঁদের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা না করতে অনুরোধ করলে তাঁরা মারমুখী ভূমিকায় অবতীর্ণ হন, ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন এবং রাস্তায় আগুন ধরিয়ে দিয়ে দাঙ্গা-হাঙ্গামা করে পুলিশের ওপর হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করেন।

এ ঘটনায় পল্টন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিন্টু কুমার বাদী হয়ে এই মামলাটি করেন। মামলায় ৫১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয়ের অনেককে আসামি করা হয়েছে। তবে মামলায় সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরের নাম নেই।

রিমান্ডে পাঠানো আসামিরা হলেন-মো. জাহিদ, ইউনুস, নাজমুল হাসান, নাহিদুল তারেক, লিমন ফকির, সালাহ উদদীন, মো. নাইম, আরিয়ান রিপন, মো. আ. রউফ, আসাদুজ্জামান, আজাহরুল ইসলাম,  মোস্তাক আহমেদ, মিজানুর রহমান, সোহেল মৃধা, আজিম, আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মো. সোহেল, খায়রুল কবির, ফরিদ, সবুজ হোসেন, গোলাম তানভীর, হেমায়েত, মেহেদী হাসান, ইসমাইল , রেজাউল করিমের, মোন্তাজুল, কাজী মাহমুদ , মাহমুদুল হাসান ও রুহুল আমিন।