নড়াইল জেলাধীন কালিয়া থানার বড়রিয়া মৌজাস্থিত জামরিলডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা ডা. কে এম হাফিজুর রহমানের নিজ পুকুরপাড়ে দীর্ঘ অর্ধশত বছরের পুরাতন ২২৯টি ফলজ ও গাছ যাহার বর্তমান বাজার মুল্য কমপক্ষে ১,১৪,৫০,০০/- (এক কোটি চৌদ্দ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকার গাছ জোর পূর্বক কেটে নিয়ে যায় এবং পুকুর পাড় দখল করে নেয়, তাদের বিচার ও পূর্ণাঙ্গ ক্ষতিপূরণের দাবিতে রোববার (১১ এপ্রিল,২০২১ইং) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে বাংলাদেশ আওয়ামী বঙ্গবন্ধু লীগ।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডা. কে এম হাফিজুর রহমান। মানববন্ধন কর্মসূচিতে গণমাধ্যম কর্মীদের উদ্দেশ্যে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তিনি। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কে এম হাফিজুর রহমান তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, বনখেকো ও ভূমিদস্যু, নির্মম পাষন্ড প্রকৃতি ধ্বংসকারী কতিপয় ব্যক্তিগং যথা ১) আ: হামিদ, ২) হানেফ ফকির, ৩) সোহরাব ফকির, ৪) আবদুর শুকুর, ৫) রুহুল আমিন, ৬) মো. বায়েজীদ, ৭) মো. রাকিব, ৮) মো. আনিস, ৯) মহিদ কাঠুরিয়া, ১০) মো. রিফায়েত, ১১) মো. হাছিব সহ আরো অজ্ঞাত ৩০-৩৫ জন মিলতি হইয়া মহামারী করোনার লকডাউনের মধ্যে রাত আনুমানিক ১০টার দিকে আব্দুল হামিদের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী প্রকৃতি ধ্বংশকারী আমার ২২৯টি অতি মুল্যবান গাছ কর্তন করে নিয়ে যায় এবং পুকুর পাড় দখর করে নেয়। আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে যেনো কোন প্রকার প্রতিকার না চাই সেজন্য বিভিন্ন মাধ্যমে প্রতিনিয়ত আমার প্রাণহানির হুমকি দিচ্ছে ভূমিদস্যূরা।

কে এম হাফিজুর রহমান আরো বলেন, আমি পৈত্রিক সূত্রে দীর্ঘ ৪০ বছর যাবত জমি ভোগ দখল করে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে পুকুর পাড়ে বিভিন্ন প্রজাতির কাঠ ও ফলজ গাছ রোপন করি। পরিবেশবিরোধী ভূমিদস্যুরা আমার রোপনকৃত কোটি টাকার মূল্যের গাছ কর্তন করে ও পুকুরপাড় দখল করে। এ সময় বাড়িতে আমার বৃদ্ধা মা ছাড়া আর কেউ ছিলো না। তাই ঐ সময় আমার মা ব্যতিত প্রতিবাদ করার মতো কেউ ছিলো না। আমার মা প্রতিবাদ করলে সন্ত্রাসিরা তাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ সহ হেনস্থা করে। এ বিষয়ে আমি স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করলে তারা কোনো প্রকার বিধি ব্যবস্থা গ্রহন করে নাই। আমি যাতে আমার বসতভিটায় শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে পারি ও কোটি টাকার মুল্যের গাছ কর্তন এবং পুকুর পাড়র দখলদারদের সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

বাংলাদেশ সোশ্যাল এক্টিভিস্ট ফোরামের প্রধান সমন্বয়ক মুফতী মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী মানববন্ধনে বলেন, বর্তমান সরকার পরিবেশবান্ধব সরকার। এই সরকারের আমলেই কূচক্রীমহল ও ভূমিদস্যু কর্তৃক প্রকৃতি বিনষ্ট করার জন্য ঈর্শ্বানিত হয়ে ডা. হাফিজুর রহমানের বসতবাড়ির ফলজ ও বনজ গাছ কর্তন করে পরিবেশ বিরোধী যে তান্ডব চালিয়েছে তা নি:সন্দেহে একটি মানবতাবিরোধী যজ্ঞ। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি, এই চক্রটি আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করে মানবতা ও পরিবেশ বিরোধী তান্ডব চালিয়ে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে। অতএব, এদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে পরিবেশ রক্ষার ব্যবস্থা করা হোক। ন্যাপ ভাসানি চেয়ারম্যান এম এ ভাসানি মানববন্ধনে বলেন, ডা. কে এম হাফিজুর রহমান একজন সাদা মনের মানুষ। একদিকে সমাজসেবক অমর দিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার স্বপক্ষে বহু কর্মকান্ড করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে।

সে একজন ভালো সংগঠক এলাকায় বিপক্ষ শত্রুরা ঈর্শ্বানিত হয়ে তার কর্মকান্ড থামানোর জন্য বাড়িঘর দখল সহ সমগ্রী গাছপালা কেটে নেয়। এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। মানবব্ধনে আরো যারা বক্তব্য দেন, ন্যাপ ভাসানি চেয়ারম্যান এম এ ভাসানি, বাংলাদেশ সোশ্যাল এক্টিভিস্ট ফোরামের প্রধান সমন্বয়ক মুফতী মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী, কনজারভেটিভ পার্টির চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান, নারী নেত্রী এলিজা রহমান লিজা, মুক্তিযোদ্ধা পল্লী সোসাইটি সভাপতি জাহাঙ্গীর শেখ। মানববন্ধন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, মোহাম্মদ সোলাইমান মিলন, জাহাতাব উদ্দিন, দেশপ্রেম একাডেমীর উদ্যোক্তা নয়ন ভান্ডারী ও শারমিন আ