ঢাকাই সিনেমার এক সময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা সাথীয়া জাহিদ। সবচেয়ে বড় গণমাধ্যম ও বিনোদনের মাধ্যম চলচ্চিত্র। এই মাধ্যমের তারকাদের নিয়ে আগ্রহের শেষ নেই দর্শক-ভক্তদের। তারকাদের জীবনযাপন, তাদের রোজনামচা, অতীতের কাহিনি সবকিছুই চুম্বকের মতো টানে সাধারন মানুষ’কে বগুড়ার মেয়ে ফেন্সী আক্তার সাথী,মিডিয়ার পরিচিত নাম ( সাথিয়া জাহিদ) মায়ের উৎসাহ আর ছোট বেলা থেকে বাংলা চলচ্চিত্র খুব পছন্দ করতেন সাথিয়া নিজের বাবার টাকা খরচ করে নিজেই মিউজিক ভিডিও বানাতে বেশ আনন্দ ও উপভোগ করতেন মিউজিক ভিডিও করতে করতে বিভিন্ন জায়গা থেকে মিউজিক ভিডিও নায়িকা হওয়ার অফার আসে,অফার আসে বাংলা চলচ্চিত্রে কাজ করার,মায়ের স্বপ্ন পূরনের লক্ষ্যে মিউজিক ভিডিও পাশাপাশি চলচ্চিত্র নাম লিখিয়ে হয়ে যান ফেন্সী আক্তার সাথী থেকে (সাথীয়া জাহিদ) যাহা মিডিয়ার সর্ব মহলের পরিচিত নাম।সাথিয়া জাহিদ সুধু অভিনয় করেন না তার সুরয়ালা কন্ঠে কন্ঠে গান গেয়ে ইতিমধ্যেই নিজেকে স্বল্প সময়ে জনপ্রিয় করে তুলেছেন ফেইসবুক এর পাশাপাশি বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় লাইকি তে ১০ মিলিয়ন ফলোয়ার এর তালিকায় বাংলাদেশের দ্বিতীয় আছেন সাথিয়া জাহিদ। সেই প্রিয়মুখ, ভাঁজ করা শাড়িতে চিরায়ত বাঙালি মেয়ে অজানা প্রেমিকের খুঁজে পেরেশান। প্রতীক্ষার দিন গুনে গুনে আনমনেই গেয়ে উঠেছিলেন, ‘একদিন স্বপ্নের দিন’। মনে পড়ে সেই সাথিয়া জাহিদ এর কথা তিনি আজ নেই কোনো খবরের কাগজে । বলছি শাকিব খানের এর সাথে ছবি করা সেই’নিষ্পাপ ’ সিনেমার নায়িকা সাথীয়া আক্তার ফেন্সীর কথা। বাংলা সিনেমায় তিনি নক্ষত্রের ঝলক নিয়ে হাজির হয়েছিলেন। অল্প কিছু ছবি দিয়ে সাফল্যও পেয়েছেন। কিন্তু আজ আর দেখা মিলে না তার। বাংলাদেশে কোথায় আছেন এই মিষ্টি অভিনেত্রী? টালিউডে এক সময়ের দাপুটে এ নায়িকার পুরো নাম ফেন্সী আক্তার সাথী(সাথীয়া জাহিদ) সবার প্রিয় অভিনেত্রী সাথীয়া ১৯৯৪ সালে বগুড়া জম্মগ্রহন করেন। ছোটবেলায় বগুড়া অনেকটা সময় কাটালেও পরে পড়াশোনা করেছেন রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্কুলে।মডেলিং দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করা এই অভিনেত্রী ২০১৩ সালে মোহাম্মদ আলীর’নিষ্পাপ মুন্না’ ছবির মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষিক্ত হন। প্রথম ছবিতে বাংলাদেশের বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় নায়ক শাকিব এর সঙ্গে একই ছবিতে জুটি বেঁধে অভিনয় করেন তিনি। বাংলাদেশের দর্শকদের পাশাপাশি কলকাতার দর্শকরা ‘নিষ্পাপ মুন্না’ ছবির পর থেকেই আপন করে নেন এ নায়িকাকে। রীতিমত তোলপাড় ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। পৌঁছে গিয়েছিলেন সব যুবকের অন্তরে। এরপর একে একে বাংলা ছবি,ইন্চি ইন্চি প্রেম,চায়না মামা সহ অনেক ও নাটক ও বিজ্ঞাপন করে দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছেন সাথীয়া জাহিদ। ২০১৩ সালে অভিষেক পাওয়া শাকিবের সঙ্গে এর পরে ইন্চি ইন্চি প্রেম ছবির ঝুঁটি বাঁধেন চিত্রনায়ক বাপ্পীর সাথে এর পরে জনপ্রিয় অনেক নায়কের সাথে ঝুটি বেঁধে সিনেমাতে কাজ করেন ঐ ছবির পর দর্শকপ্রিয়তা বেড়ে বহুগুণ হয় তার। অনেকেই এই নায়িকাকে ঘিরে চলচ্চিত্র নির্মাণের স্বপ্ন দেখছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করেই ২০১৩ শেষের দিকে পরিবার কে সময় দিতে গিয়ে ইন্ডাস্ট্রি থেকে দুরে সরে যান সাথীয়া জাহিদ। চলচ্চিত্রে এ অভিনেত্রীর কোনো সন্ধান না পাওয়ায় সবাই ধরে নিয়েছেলেন সিনেমাকে বিদায় জানিয়েছেন। মাঝখানে হঠাৎ শোনা গেল আবার চলচ্চিত্রে ফিরবেন কিন্তু কখন ফিরবেন তা সঠিক জানান নি সাথীয়া জাহিদ। বর্তমানে স্বামী ও তিন ছেলে সন্তানকে নিয়ে রাজধানী গুলশানে বসবাস করছেন। মাঝেমধ্যে বিভিন্ন ফ্যাশন শোতে অংশ নিতে দেখা যায় এই অভিনেত্রীকে। চলচ্চিত্রের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এখন ও ইনবাইট পান বিএফডিসির বিভিন্ন প্রোগ্রামে। ক্যারিয়ার নিয়ে কী আবার নতুন করে কিছু ভাবছেন? ক্যারিয়ার নিয়ে আগের যে কোনো সময় থেকে আমি সিরিয়াস। মাঝে ইচ্ছে করেই একটু ঢিল দিয়েছিলাম। পারিবারিক কারণে বেশ কিছুদিন দেশের বাইরে থাকতে হয়েছে। আসলে একটানা কাজ করতে করতে হাঁপিয়ে উঠেছিলাম, তাই কিছুদিন বিরতি নিলাম। তবে কাজের ক্ষেত্রে আমি আগের মতোই সিরিয়াস।গড়পরতা ছবিতে কাজ করার ইচ্ছে নেই। নায়িকাকে শোপিস বানিয়ে নায়কনির্ভর যেসব ছবি হয়, সে ধরনের ছবিতে কাজ করতে আমি রাজি নই। আগে চরিত্র সম্পর্কে জেনেবুঝে তবেই আমি নতুন ছবিতে সাইন করবো । ঘরে বসে থাকতে রাজি আছি, তবু নিজেকে গুরুত্বহীন শোপিচ নায়িকা হিসেবে ভাবতে পারি না।মহামারী করোনার বয়াল থাবা থেকে যখন আমরা সম্পূন্ন মুক্তি পাবো তখনি নিজ প্রতিষ্ঠানের হ্যাভেন এভিয়েশনের এর মাধ্যমে নিজেই ছবি বানাবো।