লকডাউনের আদলে সরকার ঘোষিত কঠোর নিষেধাজ্ঞার ৫০তম দিনে এসে চালু হয়েছে দূরপাল্লার গণপরিবহন। শর্ত মেনে আজ থেকে দূরপাল্লার বাস চলার অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন শ্রমিক ও মালিক সংগঠনগুলোর নেতারা। অন্যদিকে শ্রমিকদের পূর্বঘোষিত অবরোধ কর্মসূচি গতকালই প্রত্যাহার করা হয়েছে। নির্ধারিত শর্ত উল্লেখ করে বাস মালিকদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। তবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেছেন, করোনা পরিস্থিতির অবনতি হলে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হতে পারে।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েতউল্লা গতকাল বিকেলে সব জেলার বাস মালিক সমিতির কাছে একটি চিঠি পাঠিয়ে সরকারি সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। চিঠিতে স্বাস্থ্যবিধি মানার পাশাপাশি উল্লেখ করা হয়েছে, অর্ধেক আসনে (দুই সিটে একজন) যাত্রী বহন করতে হবে এবং বিআরটিএর নির্ধারণ করে দেওয়া আগের ভাড়ার চেয়ে ৬০ ভাগ ভাড়া বেশি নেওয়া যাবে। এর আগে রবিবার (২৩ মে) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ার) শীতাংশু শেখর বিশ্বাস স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে দূরপাল্লার গণপরিবহন চলাচলের জন্য চার দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়।

যার মধ্যে রয়েছে- কোনোভাবেই সংশ্লিষ্ট মোটরযানের রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটে উল্লিখিত মোট আসন সংখ্যার অর্ধেকের বেশি যাত্রী বহন করা যাবে না, কোনোভাবেই বিদ্যমান ভাড়ার ৬০ শতাংশের অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না, ট্রিপের শুরু ও শেষে জীবাণুনাশক দিয়ে গাড়ি জীবাণুমুক্ত করতে হবে এবং পরিবহন সংশ্লিষ্ট মোটরযান চালক, অন্যান্য শ্রমিক কর্মচারী ও যাত্রীদের বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

বাস মালিক ও শ্রমিকদের জন্য একই ধরনের নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বাসে অর্ধেক আসন খালি রাখার শর্তে গত ৩০ মার্চ বাসের ভাড়া ৬০ শতাংশ বৃদ্ধির অনুমতি দেয় বিআরটিএ। তবে ৫ এপ্রিল থেকে বাস চলাচল বন্ধ করা হয়। পরে ৬ মে থেকে জেলার ভেতরে গণপরিবহন চলাচল শুরু হয়।