আগ্নেয়গিরি থেকে ব্যাপক পরিমাণে লাভার উদগিরণে ভয় পেয়ে কঙ্গোর হাজার হাজার বাসিন্দা নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর এখন ফিরে আসছে। বহু মানুষের ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে এবং অন্তত ১৫ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বহু মানুষ নিজেদের স্বজনদের হন্যে হয়ে খুঁজছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মাউন্ট নাইরাগঙ্গো থেকে স্থানীয় সময় শনিবার অত্যধিক মাত্রায় লাভা উদগিরণ শুরু হয়। তবে সেখানকার গোমা শহরে লাভার স্রোত থেমে গেছে। 

ওই শহরে ২০ লাখ মানুষের বসবাস। লাভার ভয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া হাজার হাজার মানুষ এখন ফিরে আসছে। অন্যদিকে সরকারিভাবে উদ্ধার অভিযান চলছে। সরকারি কর্মকর্তাদের শঙ্কা, সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভয় পেয়ে পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। কারাগার থেকে পালানোর সময় মারা গেছে চারজন এবং দু’জন লাভার আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা গেছে।

জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ বলছে, ১৭০ জনের বেশি শিশু নিখোঁজ রয়েছে। এছাড়া আরো দেড় শতাধিক শিশু তাদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

জানা গেছে, আগ্নেয়গিরিটি গোমা শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে। ২০০২ সালে ওই আগ্নেয়গিরির লাভার স্রোতে ২৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ওই ঘটনায় ঘরহারা হয়েছিল এক লাখ ২০ হাজার মানুষ।


সূত্র: বিবিসি