মোঃ আব্দুল হান্নান, ক্রাইম রিপোর্টার, সিলেট

চুনারুঘাট সীমান্তের কুখ্যাত মাদক চোরাকারবারি ও বহু অপকর্মের হোতা শিপন (৩২)কে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত । ২৫ মে মঙ্গলবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে একটি মাদক মামলার জামিন চাইলে আদালত তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। শিপন চুনারুঘাট উপজেলার চিমটিবিল খাসের মামদ আলীর পুত্র। তার বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা ছাড়াও এলাকায় বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে।

সীমান্ত এলাকায় তার কর্মকাণ্ড নিয়ে নানান গুঞ্জন রয়েছে। সে নিজেকে বিজিবি পরিচয় দিয়ে বিজিবির পোশাকে ঘুরাফেরা করা ছাড়াও প্রতারণা, চাঁদাবাজি, নির্দোষ-নিরীহ ব্যক্তিদের হুমকি-ধমকি, মারধর সহ বিভিন্ন জনকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ রয়েছে। গত ৫ মে রাত সাড়ে ৯টায় মাদক মামলায় পলাতক শিপনকে চুনারুঘাট থানা পুলিশ তার বসত গৃহে গ্রেফতার করলে স্বজনরা পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি করে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এসময় পুলিশের তিন সদস্য পাপ্পু গোয়ালা, উসমান গনি সুমন মিয়া ও শিপনের বাবা মামদ আলী আহত হন। এক সময় দারোগাসহ চার পুলিশ সদস্যকে ঘরে তালাবদ্ধ করে শিপনের স্বজনরা ।

পুলিশকে আটকের ঘটনা উল্লেখ করে শিপনের ছোট ভাই স্বপন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেইসবুকে ছবি সহ স্ট্যাটাস দেয় । খবর পেয়ে ওসি এম আলী আশরাফ অতিরিক্ত ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। ঘটনায় চুনারুঘাট থানা পুলিশ বাদী হয়ে শিপনক ১ং আসামি করে পুলিশ এসাল্ট মামলা দায়ের করে।

এর আগে গত ১০ জানুয়ারি উপজেলার কালামন্ডল গ্রামের মৃত নানু মিয়ার পুত্র এনাম মিয়াকে গাঁজা চালান ধরিয়ে দেওয়ায় মারধর করে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়ে বিজিবির কাছে সোপর্দ করার অভিযোগ করে শিপন সহ আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন তার ভাই এমরান। তাছাড়াও ২০১৫ সালে চুনারুঘাট থানায় ১টি, ২০১৭ সালে মাধবপুর থানায় ১টি ও সাম্প্রতিক চুনারুঘাট থানায় তার বিরুদ্ধে ১টি মাদক মামলা হয়।