নিজস্ব প্রতিবেদন
২০২১-২২ অর্থ বছরে দেশীয় সিগারেট কোম্পানীর অস্তিত্ব রক্ষা ও বিদেশী সিগারেটের সাথে দামের পার্থক্য কমানোসহ কয়েটি দাবি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বাংলাদেশ লোকাল ওনড সিগারেট ম্যানুফ্যাকচার মালিক সমতি। বাজেটে সিগারেট খাতে নিম্নস্ল্যাবের সিগারেটের জন্য নীতি সহায়তা প্রাপ্তির লক্ষ্যে সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বক্তারা।
বক্তারা বলেন, শতভাগ দেশীয় মালিকানাধীন ২৫টি সিগারেট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক গঠিত এই কমিটি সিগারেট খাতে সরকারের কাছ থেকে যথাযথ নীতি সহায়তা প্রাপ্তির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। সম্প্রতি ঘোষিত ২০২১-২২ অর্থ বছরের বাজেট প্রস্তাবে সিগারেট খাতে দেশীয় মালিকানাধীন সিগারেট কোম্পানী তাদের অস্তিত্ব রক্ষার্থে দাবীকৃত নীতি সহায়তা হতে বঞ্চিত হয়েছে। তাই এই শিল্প রক্ষায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সানুগ্রহ সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এছাড়া, কোম্পানী তার অর্জিত মুনাফা বিদেশে নিয়ে যায় অন্যদিকে দেশীয় কোম্পানী তার লাভ দেশেই অন্যান্য কর্মসংস্থানমুখী শিল্প কারখানায় বিনিয়োগ করে। অন্যদিকে, বহুজাতিক কোম্পানী বিদেশী কিছু দামি ব্র্যান্ড ধারাবাহিকভাবে দেশের বাজারে লঞ্চ করে ব্যাপক এবং আগ্রাসী বিপনণ কর্মকান্ড চালিয়ে দেশীয় সকল কোম্পানীর বাজার দখল করে নিতে থাকে। ফলে, দেশীয় কোম্পানীগুলো অসম প্রতিযোগিতার কারনে বাজারে টিকতে না পেরে ক্রমন্বয়ে উৎপাদন ও বাজারজাত বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে বলে দাবি করেন বক্তারা।
এসময় দেশীয় সিগারেট শিল্প রক্ষায় বক্তারা দুটি দাবি তুলে ধরেন, এগুলো হলো:
(ক) ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে নিম্নস্তরের মূল্য বিভাজন সংক্রান্ত পদক্ষেপ অনুযায়ী দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সিগারেটের প্রতি শলাকার দামের মধ্যে নূন্যতম ১ টাকা পার্থক্য করে দাম নির্ধারণ।
(খ) ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের অনুমোদিত বাজেট অনুযায়ী বর্তমান বাজারের নিম্নস্তরে বিক্রিত আন্তর্জাতিক সিগারেটের ব্র্যান্ড মধ্যস্তরে উন্নীত করে সংরক্ষিত রাখা।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন অনুযায়ী (ক) অথবা (খ) যে কোন একটি ২০২১-২২ অর্থ বছরের বাজেটের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করে দেশীয়/লোকাল সিগারেট কারখানাগুলোকেও অন্যান্য শিল্পের মত সাম্যতা ও ন্যায্য নীতি সহায়তা দিয়ে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করার বিহীত ব্যবস্থা গ্রহণ।