অনলাইন রিপোর্টার ॥
করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ঢাকা থেকে সারা দেশে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। রেল ভবনে এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে রেলপথ মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। ট্রেন পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের এ বিষয়ে প্রস্তুতি নিতেও বলা হয়েছে। বিভিন্ন রেলস্টেশনে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এখন আদেশ পাওয়ার অপেক্ষায় আছেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার বলেন, মঙ্গলবার রাত ১২টার পর ঢাকা থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ হচ্ছে। ঢাকা থেকে কোনো ট্রেন পরিচালনা করা হবে না।
কমলাপুর রেল স্টেশনের ব্যবস্থাপক মাসুদ সারোয়ার মঙ্গলবার বিকেলে বলেন, যাত্রীবাহী ট্রেন চালানো বন্ধ রাখার জন্য প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আমাদের জানানো হবে।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ৫ এপ্রিল থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ওই সময় সরকার বিধিনিষেধ আরোপ করলে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
পরে যাত্রীবাহী ট্রেন পরিচালনা শুরু হয় গত ২৪ মে থেকে। ট্রেনের মোট আসনের ৫০ শতাংশ যাত্রী পরিবহন করার শর্তে যাত্রী পরিবহন অব্যাহত ছিল। সারাদেশে ২৮ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন, ৯টি মেইল এক্সপ্রেস ও কমিউটার ট্রেন চলাচল শুরু হয় প্রথম দিকে। পরে তা আরও বাড়ানো হয়।
গত ৮ জুন টিকিট কাউন্টারে বিক্রি শুরু হয় নির্ধারিত ভ্রমনদিনের পাঁচ দিন আগে থেকে। তার আগে শুধু অনলাইনে টিকিট পাওয়া যেত।
বাংলাদেশ রেলওয়ের ৩৬২টি ট্রেনের মধ্যে স্বাভাবিক সময়ে ১০২টি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করে থাকে। এছাড়া চলাচল করে ২৬০টি লোকাল, কমিউটার ট্রেন ও মালবাহী ট্রেন। পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল আগের মতো এবারও বন্ধ হচ্ছে না।
গত কয়েকদিন ধরেই ঢাকার বাইরে করোনা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। এ পরিস্থিতিতে আজ থেকে (মঙ্গলবার) থেকে দেশের ৭ জেলায় লকডাউন চলছে। এ সাত জেলা হলো- মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, রাজবাড়ী, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জ।
সোমবার বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ ঘোষণা দিয়ে বলেন, যে ৭ জেলায় লকডাউন দেওয়া হয়েছে সেখানে ৩০ জুন পর্যন্ত সাধারণ মানুষের চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে।
গণপরিবহন চলাচল করবে না। বাজার-শপিংমল বন্ধ থাকবে। সরকারি-বেসরকারি অফিসও বন্ধ থাকবে (জরুরি সরকারি অফিস ছাড়া)।
এ ছাড়াও করোনার সংক্রমণ রোধে রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় স্থানীয় প্রশাসনের জারি করা লকডাউন আগে থেকেই চলছে।