নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের হাশেম ফুডস অ্যান্ড বেভারেজ কম্পানির সেজান জুস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর কারখানার ভেতর থেকে আরো অর্থ শতাধিক লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। 

আজ শুক্রবার (৯ জুলাই) দুপুরে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স নারায়ণগঞ্জ অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। উদ্ধার হওয়া লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে সূত্র জানায়।

সূত্র আরো জানায়, অগ্নিকাণ্ড শুরুর পর থেকে ফায়ার সার্ভিসের ১১ ইউনিটের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। আজ দুপুর ২টায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত তাঁরা কারখানা ভবনটির চতুর্থ তলা পর্যন্ত যেতে পেরেছেন। ওপরের দুই ফ্লোরে এখনও আগুন জ্বলছে। এখনো উদ্ধারকাজ চলছে। চূড়ান্ত সংখ্যা এখনই বলতে পারছেন না তাঁরা। উদ্ধারের পর একাধিক অ্যাম্বুলেন্সে করে অর্ধ শতাধিক লাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।  

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে ভুলতা কর্ণগোপ এলাকায় অবস্থিত সেজান জুস কারখানায় আগুন লাগে। রাতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তিন শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেন। আগুনে ছয়জন দগ্ধসহ অর্ধশতাধিক শ্রমিক আহত হন বলে খবর পাওয়া যায়। ভবনের ছাদে আটকে পড়া ১২ শ্রমিককে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

আগুনে কারখানার কাঁচামাল, উৎপাদিত পণ্য, মূল্যবান সামগ্রীসহ বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। খবর পেয়ে কাঞ্চন, পূর্বাচল, ডেমরা, আড়াইহাজার, আদমজী ফায়ার সার্ভিসের ১১ ইউনিটের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণ কাজে যোগ দেন। আগুনে ভবনের বিভিন্ন তলায় কারখানার কর্মচারী ও কর্মকর্তারা আটকা পড়েন। কেউ কেউ লাফিয়ে পড়ে আহত হন।

স্থানীয় সূত্র জানা যায়, আহতদের মধ্যে ১০ জনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আর ইউএস-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ১৬ জনকে।

kalerkantho