খেলার ধারার বিপরীতে আচমকা এক গোলে পাক দি ফ্রাঁস থেকে তিন পয়েন্ট নিয়ে ফেরার আশা জাগায় লিঁও। শিরোপা পুনরুদ্ধারের অভিযানে দারুণ শুরু করা পিএসজিকে পথ দেখালেন নেইমার। শেষ সময়ে ব্যবধান গড়ে দিলেন মাউরো ইকার্দি।
ঘুরে দাঁড়িয়ে দারুণ এক জয় পেল মাওরিসিও পচেত্তিনোর দল।
ঘরের মাঠে রবিবার রাতে লিগ ওয়ানের ম্যাচে ২-১ গোলে জিতেছে পিএসজি। লিঁওকে লুকাস পাকেতা এগিয়ে নেওয়ার পর সফল স্পট কিকে সমতা আনেন আরেক ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নেইমার। যোগ করা সময়ে চমৎকার এক হেডে দলকে জয়রথে রাখেন ইকার্দি।
পিএসজির মাঠে প্রথম ম্যাচ। স্বাভাবিকভাবেই উপলক্ষটা রাঙিয়ে রাখতে মরিয়া ছিলেন লিওনেল মেসি। সুযোগ তৈরি করলেন, গোলের আশা জাগালেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। কিন্তু নতুন দলের হয়ে তার গোল অধরাই থেকে গেল।
দুর্ভাগ্য বাধা হয়ে দাঁড়ানোয় হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়েন মেসি। তবে আশার কথা, কিলিয়ান এমবাপে ও নেইমারের সঙ্গে তার বোঝাপড়া ক্রমেই বাড়ছে। সেটা কিছুটা অনুভব করেছে লিঁও। তিন তারকায় গড়া পিএসজির আক্রমণভাগ শুরু থেকে চেপে ধরে সফরকারীদের।
ষষ্ঠ মিনিটে আসে প্রথম সুযোগ। তবে মেসির শট ব্লক করে দলকে বাঁচান জেসন ডেনায়ের। দুই মিনিট পর আনহেল দি মারিয়ার শট ঠেকিয়ে দেন লিঁও গোলরক্ষক এন্থনি লোপেস। পরে আরও অনেকবার দলকে রক্ষা করেন তিনি। ২৩তম মিনিটে আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডারের শট হেড করে কর্নারের বিনিময়ে ব্যর্থ করে দেন ডেনায়ের।
৩২তম মিনিটে নেইমারের চমৎকার ব্যাক হিলে সুযোগ আসে মেসির সামনে। দূরের পোস্টে শট নেন তিনি। একটু আগে ঝাঁপিয়ে পড়া লোপেস শেষ মুহূর্তে পা দিয়ে পোস্ট ঘেঁষে বাইরে পাঠান বল।
পাঁচ মিনিট পর কিছুই করার ছিল না তার। ৩০ গজ দূর থেকে মেসির ফ্রি কিক ফেরানো সম্ভব নয় ভেবে হাল ছেড়ে দেন এই পর্তুগিজ গোলরক্ষক। কিন্তু ক্রসবার ও পোস্টের মিলনস্থলে লেগে বল চলে যায় বাইরে।
যোগ করা সময়ে নেইমারের ক্রসে একটুর জন্য মাথা ছোঁয়াতে পারেননি এমবাপে। পরে মেসির চমৎকার পাসে গোলরক্ষককে একা পেয়েও শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণাত্মক শুরু করে পিএসজি। কিন্তু ৫৪তম মিনিটে খেলার ধারার বিপরীতে এগিয়ে যায় লিঁও। প্রতি-আক্রমণে টোকো একাম্বির কাছ থেকে বল পেয়ে কাছের পোস্ট দিয়ে বল জালে পাঠান লুকাস পাকেতা। কাছেই ছিলেন জানলুইজি দোন্নারুম্মা; কিন্তু ঠেকাতে পারেননি তিনি।
চলতি আসরে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের এটি তৃতীয় গোল।
এগিয়ে যাওয়ার পর আরও রক্ষণাত্মক হয়ে পড়ে লিঁও। একের পর এক আক্রমণ তাদের কাঁপিয়ে দেওয়া পিএসজি দ্রুতই ফিরে সমতায়। ৬৬তম মিনিটে সফল স্পট কিকে ব্যবধান ঘুচিয়ে দেন নেইমার। তাকেই মালো গুস্তো ফাউল করায় পেনাল্টি পেয়েছিল স্বাগতিকরা।
৭৪তম মিনিটে নেইমারের সঙ্গে ‘ওয়ান-টু’ খেলে ডি-বক্সের বাইরে থেকে লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন মেসি। পরের মিনিটেই তাকে তুলে নেন কোচ পচেত্তিনো।
৮২তম মিনিটে দি মারিয়ার জায়গায় ইকার্দিকে নামান কোচ। আস্থার দারুণ প্রতিদান দেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার। ৯৪তম মিনিটে এমবাপের দারুণ ক্রসে হেডে জাল খুঁজে নেন তিনি।
টানা ৬ জয়ে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অবস্থান সুসংহত করেছে পিএসজি। এরই মধ্যে তাদের চেয়ে ১০ পয়েন্টে পিছিয়ে পড়েছে লিঁও। আসরে দ্বিতীয় হারের তেতো স্বাদ পাওয়া দলটির পয়েন্ট ৬ ম্যাচে ৮।