আবু বকর সিদ্দীক

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ পৌরসভার আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় সম্প্রতি দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয় তাকে। সেই আবু বকর সিদ্দীক আবু-ই দেবীগঞ্জ পৌরসভার প্রথম মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। 

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দীক রেল ইঞ্জিন প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২ হাজার ৯৮১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী গিয়াসউদ্দিন চৌধুরী নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২ হাজার ২৪৭ ভোট। 

সোমবার (২০ সেপেম্বর) রাত ৯টায় ভোট গণনা শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রত্যয় হাসান নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন এবং বিজয়ীদের বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করেন।

এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী বিজয়ী প্রার্থীসহ ৪ বিদ্রোহী প্রার্থী পেয়েছেন ৫ হাজার ৬৫৬ ভোট। উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নূর নেওয়াজ মোবাইল ফোন প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ১২৮ ভোট, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ ক্যারাম বোর্ড প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৩৯৮ ভোট ও পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন নিউটন জগ প্রতীকে পেয়েছেন ১৪৯ ভোট। 

দেবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এফ এস এম মোফাকখারুল আলম বাবু চামচ প্রতীকে পেয়েছেন ১৫৮ ভোট, পৌর যুবদলের আহবায়ক সরকার ফরিদুল ইসলাম নারিকেল গাছ প্রতীকে পেয়েছেন ৩১৪ ভোট, সাংবাদিক যাকারিয়া ইবনে ইউসুফ ইস্ত্রি মেশিন প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১০৩ এবং মাসুদ পারভেজ কম্পিউটার প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১০৬ ভোট।

চার বিদ্রোহীর কারণেই নৌকার ভরাডুবি হয়েছে বলে মনে করছেন তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ১০ হাজার ৯১৪ জন। ভোট পড়েছে ৮ হাজার ৫৯৮ ভোট। মোট ভোটারের ৭৮ দশমিক ৭৭ শতাংশ ভোট পড়েছে। 

নির্বাচিত মেয়র প্রার্থী আবু বকর সিদ্দীক বলেন, আমি সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে মিশে রয়েছি। তাদের সুখে-দুঃখে পাশে থেকেছি। একাধিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থেকে কাজ করছি। তাই মানুষ আমাকে নিরাশ করেনি। পৌরসভার ভোটাররা দেবীগঞ্জ পৌরসভার প্রথম মেয়র হিসেবে আমাকে বেছে নিয়েছেন। আমি পৌরবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞ। সেই সঙ্গে সুষ্ঠু ভোট উপহার দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানাই। আমি বিদ্রোহী হিসেবে নির্বাচন করলেও এই জয় কিন্তু আওয়ামী লীগের। স্থানীয় সরকার নির্বাচন হওয়ায় এখানে প্রতীকের চেয়ে ব্যক্তি ইমেজ বেশি কাজ করে। আমি সকলকে সঙ্গে নিয়ে প্রাণের দেবীগঞ্জকে মনের মাধুরী দিয়ে সাজাতে চাই।