সোহেল রানা, মালয়েশিয়া প্রতিনিধি।
পূর্ণ ডোজের ভ্যাকসিন গ্রহণকারী বিদেশি নাগরিকদের মালয়েশিয়া প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে দেশটির সরকার। তবে ভ্যাকসিন গ্রহণের প্রমাণ হিসেবে নির্ধারিত অনলাইন পোর্টালে বিস্তারিত তথ্য আপলোড করতে হবে। পূর্ণ ডোজ টিকা নেওয়া বিদেশিদের প্রবেশের অনুমতি মালয়েশিয়ায় সেই সঙ্গে বিদেশ ফেরত যাদের বাসস্থান হোম কোয়ারেন্টাইনের জন্য উপযুক্ত থাকবে কেবল তারাই বিবেচিত হবে। ফলে স্থানীয় ও বিদেশি ভ্রমণকারীরা হোটেল কোয়ারেন্টাইনের জন্য অর্থ ব্যয় না করে তাদের নিজের বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনের অনুমতি দেওয়া হবে।
স্থানীয় সময় রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজের পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়। এতে আরও বলা হয়, ২১ সেপ্টেম্বর থেকে সকল ভ্রমণকারীদের নতুন পোর্টালের মাধ্যমে আবেদনের মাধ্যমে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে মালয়েশিয়া প্রবেশের অনুমতি প্রদান করা হবে। তবে, ভ্রমণকারীরা মালয়েশিয়া প্রবেশের ৭ থেকে ১০ দিন আগে moh.gov.my সাইট পরিদর্শন করে হোম কোয়ারেন্টাইনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদনগুলো সাত কর্ম দিবসের মধ্যে প্রক্রিয়াকরণ করা হবে।
দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী খয়েরি জামালউদ্দিন জানান, বিদেশি ভ্রমণকারীদের প্রবেশের ব্যাপারে নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ কাজ করছে। একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ ও নিরাপদ নতুন নিয়ম নীতি তৈরি করা হচ্ছে। এটি এমন একটি প্রক্রিয়া দ্বারা প্রতিস্থাপিত হবে যেখানে ভ্রমণকারীরা সম্পূর্ণ আবেদন জমা দেওয়ার তিন দিনের মধ্যে একটি বার্তা পেয়ে যাবে। মালয়েশিয়া প্রবাসীদের জন্য দূতাবাসের হটলাইন চালু প্রসঙ্গত, বিশ্বজুড়ে মহামারি করোনা সংক্রমণে জীবন-জীবিকার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে। এমন পরিস্থিতিতে জনগণের জীবন-জীবিকার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করার লক্ষে যা যা করা দরকার মালয়েশিয়া সরকার তাই করছে।
এদিকে, করোনা সংক্রমণরোধে দুই ডোজ টিকা গ্রহণকারী নাগরিকদের রেস্তোরায় বসে খাওয়ার অনুমতি এবং আন্তঃজেলা ও আন্তঃরাজ্য চলাচলে শিথিল করা হয়েছে। এছাড়া মসজিদে স্থানীয় ও বিদেশিদের নামাজ আদায়সহ সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শারীরিক ব্যায়াম এবং খেলাধুলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। দেশটিতে সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ৩০২ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩০১ জনের। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ২১ লাখ ২১ হাজার ৭৩৫ জন।
এখন পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় করোনায় মারা গেছেন ২৪ হাজার ৪৫ জন এবং সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন ১৮ লাখ ৯৭ হাজার ৫৪৭ জন।