মোঃ আব্দুল হান্নান, ক্রাইম রিপোর্টার সিলেট।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব “শারদীয় দুর্গাপূজা” শুরু হবে ১২ অক্টোবর মঙ্গলবার থেকে। পূজার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ৭১টি সার্বজনীন ও ১১টি ব্যক্তিগত সহ মোট ৮২টি মণ্ডপ। মণ্ডপ গুলোর প্রায় অধিকাংশেরই প্রতিমা তৈরী হয়েছে গেছে। মণ্ডপ গুলোকে আকর্ষণীয় ভাবে সুসজ্জিত করা হলেও মহামারি করোনার ঝুঁকি এড়াতে আশপাশে থাকছে না কোনো আলোকসজ্জা। চা-বাগান গুলোতে যুগের পর যুগ ধরে এই উৎসবে যে যাত্রাপালার আয়োজন করা হতো বিগত দু বছরের মতো এবারও তা হচ্ছে না । বিজয়া দশমীর শোভাযাত্রাও অনুষ্ঠিত হবে না।

তবে, ভক্তদের পূজায় যেন কোনো সমস্যা না হয় সেজন্য রয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রতিটি মণ্ডপে দুইজন করে আনসার ভিডিপি থাকা ছাড়াও গ্রাম পুলিশ, বিট পুলিশ সহ থাকছে থানা পুলিশের বিশেষ টহল বাহিনী। সীমান্ত এলাকা গুলোতে থাকবে বিজিবিরও বিশেষ টহল বাহিনী। জনপ্রতিনিধিরাও সক্রিয় ভুমিকা পালন করবেন। এ বিষয়ে চুনারুঘাট থানা, পূজা উদযাপন কমিটি ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভায় আলোচনা বৈঠক হয়েছে ইতিমধ্যেই।

সকল আলোচনায়ই করোনা পরিস্থিতি প্রাধান্য পায়। সার্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটির চুনারুঘাট উপজেলার সাধারণ সম্পাদক প্রণয় পাল জানান, সকল মণ্ডপের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষ করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে উৎসবটি পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এর মধ্যে, আলোকসজ্জা, যাত্রাপালা ও বিজয়া দশমীর শোভাযাত্রা না করার সিদ্ধান্ত অন্যতম। চুনারুঘাট থানার ওসি (তদন্ত) জানান, পূজারীরা যেন শান্তিপূর্ণ ভাবে তাদের উৎসব পালন করতে পারেন তার জন্য পুলিশের প্রস্তুতি রয়েছে। যে সমস্ত মণ্ডপে ঝুঁকি রয়েছে তারা তা সনাক্ত করেছেন এবং এর জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থাও গ্রহণ করেছেন।

মণ্ডপ গুলোর মধ্যে চুনারুঘাট পৌরসভায় সার্বজনীন ৪টি, গাজীপুর ইউনিয়নে ২টি, আহম্মদাবাদ ইউনিয়নে ৭টি, দেওরগাছ ইউনিয়নে ৬টি, পাইকপাড়া ইউনিয়নে ১২টি, শানখলা ইউনিয়নে ৮টি, উবাহাটা ইউনিয়নে ৬টি, সাটিয়াজুরী ইউনিয়নে ৬টি, রাণীগাও ইউনিয়নে ১৬টি ও মিরাশী ইউনিয়নে ৪ টি মোট ৭১টি। তাছাড়াও চুনারুঘাট পৌরসভায় ৪টি, শানখলা ইউনিয়নে ১টি সদর ইউনিয়নে একটি মিরাশী ইউনিয়নে ৫টি মোট ১১টি ব্যক্তিগত পূজা মণ্ডপ রয়েছে।