মুহাম্মদ নাজমুল ইসলাম, চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি।
কুমিল্লার নানুয়া দিঘীর পাড়ে পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রেখেছিলেন যে ব্যক্তি সেই ব্যক্তির নাম ইকবাল হোসেন। তার বয়স ৩০ থেকে ৩৫ বছর হবে। তার বাবার নাম নুর আহমেদ আলম। বাড়ি কুমিল্লার সুজানগরে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ইকবাল কে শনাক্ত করা হয়েছে বলে কুমিল্লার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন। দেশের বিভিন্ন জায়গায় পূজামণ্ডপে হামলা ও হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে আগুন দেওয়ার ঘটনায় অপরাধীদের দ্রুত শাস্তির আওতায় আনতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক সহিংসতায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত করে অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।’ মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তদন্ত করে যারা এসব ঘটনার সূত্রপাত করল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন।
মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে এ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বুধবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ভিডিওটি আমি দেখেছি। এতে দেখা যাচ্ছে এক যুবক মসজিদ থেকে কোরআন শরিফ নিয়ে রাস্তার দিকে আসে। কিছুক্ষণ পর দেখলাম তার হাতে কোরআন শরিফ নেই। হনুমান ঠাকুরের গদা হাতে নিয়ে তিনি ঘোরাঘুরি করছেন। মন্ত্রী আরও বলেন, আমি বলেছি ইকবালকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ইকবাল মোবাইল ব্যবহার না করার কারণে তাকে ট্র্যাক করা যাচ্ছিল না। এখন পর্যন্ত সে ঘন ঘন স্থান পরিবর্তন করছে। আমরা তাকে নজরদারতে রেখেছি। ইকবাল এর সাথে এই চক্রান্তে যুক্ত বাকী ২ জনও গ্রেফতার হয়েছেন।
ইকবাল, ইকরাম ও ফয়েজ এই ৩ জন মিলে ঘটিয়েছেন পুরো ঘটনাটি। ইকবালকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে, যে কোনো সময় ইকবালকে গ্রেফতার করা হবে।