বাহরাইন প্রবাসী বি এম সবুজ পাটোয়ারী এর খোলা চিঠি। আমি একজন বাহরাইন প্রবাসী।আমার বাবা আকবর পাটোয়ারী চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১৪ নং ইউনিয়ন পরিষদের ৯ ওয়ার্ডের বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরে গ্রামে কৃষি কাজ করে আসছিল।কোন সময় কারো ক্ষতি করেনি। কিন্তু আজকে আমার বাবা বৃদ্ধ বয়সে মিথ্যা মামলায় জেল খাটতেছে। ঘটনার সূত্রপাত হয় তোফায়েল আহমেদ পাটোয়ারী এবং জসিম পাটোয়ারীর জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে।
তোফায়েল পাটোয়ারী ওয়ারিশগনের সম্পদ বুঝিয়ে দেয়নি বলে ওয়ারিশগন চেয়ারম্যানের কাছে যায়। চেয়ারম্যান এলাকার মেম্বার এবং গন্যমান্যদের উপর সালিসের দায়িত্ব অর্পণ করেন।সালিশদারগন সব ওয়ারিশগনের জমি বুঝিয়ে দেয় আফসনামার মাধ্যমে। উল্লেখ্য আমার বাবা উক্ত শালিস বৈঠকে উপস্থিত ছিল।
এটাই আমাদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। তোফায়েল পাটোয়ারী অবৈধভাবে দখলে থাকা অনেক জমি হারায়।এতে করে তোফায়েল পাটোয়ারী ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বাবার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা করতে থাকে।কখনো সে নিজে বাদি কখনো মামলা চক্রের মাধ্যমে ভূয়া মামলা করতে থাকে ।আমার মেজো ভাই পড়াশোনা করে ঢাকায় তাকেও দুই মামলার আসামি করা হয়েছে। সর্বমোট ৯ টি মামলা করে।কখনো পল্টন থানায় কখনো শাহবাগ থানায় আবার কখনো চাঁদপুর কোর্টে।এক মামলায় জামিন হলে নতুন করে আরেক মামলা করে।যাতে আমার বাবা জেলে বন্দী থাকতে হয়। সর্বশেষ উনি কুমিল্লার এক মহিলাকে দিয়ে মানবপাচারের মামলা করে যার কারনে আমার বাবায় এখন জেলে বন্ধী আছে।আমরা কুমিল্লার ঐ মহিলার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন তোফায়েল পাটোয়ারী এবং বাবু পাটোয়ারীর লোকজন ওনার উকিলকে মামলা করতে বলেছিল।উনি আমার বাবাকে চিনেন না।
ঐ মহিলার ঠিকানা নামঃ নারগীস আক্তার। স্বামীঃ শাহজাহান মিয়া। পিতাঃ মৃত আবুল হোসেন। গ্রাম বরকরইপূর্বপাড়া।মিয়া বাড়ি চান্দিনা কুমিল্লা।আমার বাবা নিজে ৬০ বছর বয়সী একজন অসুস্থ হার্টের এবং ডায়াবেটিসের রুগী।
প্রতিদিন ৬/৭ধরনের ঔষধ খেতে হয়। দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমি একজন রেমিট্যান্স যুদ্ধা হিসেবে আমার পরিবারকে রক্ষায় সরকারের কাছে এই মামলাবাজের হাত থেকে রক্ষা পেতে সরকারের সহযোগিতা চাই। এবং মিথ্যা মামলা দায়ের করা জন্য এই মহিলার শাস্তি দাবি করছি।