নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ভোলা সদর উপজেলার ৪ নং কাচিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম নকিব ও তার ভাতিজা আনোয়ার হোসেন শামীম মোরদারের বিচার চেয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন এলাকায় তাঁদের বাহিনী দ্বারা নির্যাতিত এলাকাবাসী ও বসতঘর ভাংচুর, লুটপাট ও হামলার শিকার হওয়ায় বাবুল মিয়াজী।

আজ (২৩ নভেম্বর ২০২১) সকাল ১০ ঘটিকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে জহিরুল ইসলাম নকিব ও তার ভাতিজা আনোয়ার হোসেন শামীম সহ তাদের বাহিনীর লোকজনের বিরুদ্ধে বাড়ী ঘর ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ করা হয়।

তারা ভোলার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও বালুদস্যু নকিব-শামীম বাহিনীর প্রধান জহিরুল ইসলাম নকিব এর হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলার হাত থেকে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ও পুলিশ প্রধানের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

নকিব-শামীমের নেতৃত্বে বাবুল নামে স্থানীয় এক ব্যক্তির বসত ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। এমনকি তাঁদেরকে এলাকা থেকে বের হতে দেওয়া হয় না। উল্টো মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। মানববন্ধনে বাবুল বলেন, উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বালু উত্তোলনের প্রতিবাদ করায় ভোলার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও বালুদস্যু নকিব-শামীম বাহিনীর প্রধান জহিরুল ইসলাম নকিবের নেতৃত্বে তাঁর বসতঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে।

বাবুল বলেন, আমরা ভোলা জেলার সদর উপজেলাধীন ৪নং কাচিয়া ইউনিয়নে স্থায়ী বাসিন্দা। উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভোলার মেঘনা নদী থেকে অবৈধ ভাবে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করে ভোলার শীর্ষ সন্ত্রাসী, বালুদস্যু জহিরুল ইসলাম নকিব-শামীম গংরা। তাদের এই বালু উত্তোলনের কারণে উক্ত ৪নং কাচিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দাদের বসতবাড়ি থেকে শুরু করে তাদের পৈত্রিক সম্পদ নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যাচ্ছে। বালু উত্তোলন বন্ধ করতে এলাকাবাসী বললে তাঁরা আমাদের ঘরবাড়ি ভাংচুর করে, উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়। যারাই তাদের এসব অপকর্ম নিয়ে প্রতিবাদ করেছে তাদের উপর নকিব-শামীম বাহিনী হামলা, মামলা করেছে।

মানববন্ধনে মালেক মিয়াজী বলেন, ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম নকিবের কাছে ইউনিয়নবাসী বলার পরও কোন প্রতিকার না পেয়ে ভোলা সদর থানার ওসি ও নির্বাহী কর্মকর্তাকে বলা হয়। পরবর্তীতে স্থানীয় এমপি তোফায়েল আহমেদ কে জানানো হলে তিনি বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশ দেন। তার নির্দেশে ড্রেজারে বালু উত্তোলন করা কিছু দিন বন্ধ ছিল। কিন্তু পুনরায় আবার যখন উক্ত নকিব-শামীম গংরা বালু উত্তোলন করা শুরু করে তখন ইউনিয়নবাসী একত্রে সেখানে গিয়ে বালু উত্তোলন না করার জন্য বলে। এতে বালুদস্যু নকিব-শামীম তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করে এবং আমাদের বসতবাড়ি ভাংচুর করে মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। তাতে আমাদের প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার মত ক্ষতি হয়।

বক্তরা বলেন, এতকিছু করার পরও তারা আমাদের কে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে যাচ্ছে এবং প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। তাদের ভয়ে আমরা এলাকা ছেড়ে রাতের অন্ধকারে ঢাকায় চলে আসি। ঢাকায় আসার পরও আমাদের উপর হামলা করে এবং আমাদের একজন ভুক্তভোগী ১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল মালেক মিয়াজিকে তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে দিন দুপুরে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করলে এলাকার মানুষজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসী বাহিনীরা তার কাছে থাকা নগদ প্রায় ২০,০০০/- টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় তারা হুমকি দিয়ে বলেন চেয়ারম্যান নকিবের নির্দেশ “তোদেরকে যেখানে পাব মেরে ফেলব। তোরা ঢাকাও থাকতে পারবি না”।

উক্ত মানববন্ধন থেকে এলাকাবাসীর দাবী, বালুসদ্যু ও শীর্ষ সন্ত্রাসী জহিরুল ইসলাম নকিব ও আনোয়ার হোসেন শামীম গংদের হাত থেকে এলাকাবাসী/ভুক্তভোগী পরিবার রক্ষা পেতে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ও পুলিশ প্রধানের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।