সম্পর্কগুলো টিকিয়ে রাখা অতটা সহজ না, তা যেকোন সম্পর্কই হোক। সম্পর্কগুলো টিকিয়ে রাখতে গেলে তা নিয়মিত নার্সিং করতে হয়, অলয়েজ রিচার্জ করতে হয়, সম্পর্কের সাথে থাকতে হয় সবসময় ফোকাসিং। নচেৎ ফিকে হয়ে যায় সব, চুকে যেতে পারে হিসেবের খাতা!!


ব্যস্ততার কারনে বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ একটু কম হলে ভাবে ওর এখন অনেক অহংকার হয়েছে। ও আর এখন আগের মত নেই। ওর অনেক ভাব, বড়লোক হয়েছে, আমাদের খোঁজ নেওয়ার সময় কোথায়??


কর্মব্যস্ততায় কথাবার্তা একটু কম হলে স্ত্রী ভাবে এই বুঝি আমার প্রতি আগ্রহ কমে গেল। আগে তো এমন ছিল না ইত্যাদি ইত্যাদি। তবে কি অন্য কিছু….!!!!
প্রিয় সন্তানও মুখ গুমড়ো করে থাকে। ভাবে বাবা আমার প্রতি কেয়ারিং না। বাবাকে আগের মত সেভাবে পাই না।
ভাললাগার মানুষগুলো আরো একধাপ এগিয়ে। বিবিধ ঝামেলার কারনে একটু ঘাটতি হলেই খুঁজতে থাকে অন্য অপশন। মুহু্র্তেই ভুলে যায় সব স্মৃতি। সিদ্ধান্ত নিতে দেরী করেনা মোটেও। দ্রুতই লাভ ক্ষতির হিসেব মিলাতে থাকে নতুনের সাথে, ভাবে এটাই তো ভাল। এতদিন কেন মরীচিকার পিছনে ঘুরলাম ??? আরো ভাবে সত্যিই আমার আগের সিদ্ধান্ত ছিল ভুল !!!
অফিসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আরো এক কাঠি সরস। বসিং একটু কম হলেই সন্দেহের চোখে দেখেন। ব্যক্তিগত কোন সমস্যার কথা বুঝতেই চাননা। একটু খোঁজ খবর কম হলেই ভাবেন আমাকে অবহেলা!! দাড়াও দেখাচ্ছি মজা, হতে থাকেন বিরাগভাজন।
রাজনৈতিক নেতারা একদিন তার কর্মীকে তোষামোদের জন্য না পেলেই বিষয়টা সন্দেহের চোখে দেখেন। সারাক্ষন পিছে পিছে কর্মীরা ঘুরঘুর না করলে ভাবেন তাহলে বোধহয় প্রতিপক্ষের সাথে হাত মিলিয়েছে ওরা। তখন থেকেই চেষ্টা করেন এতদিনের বিশ্বস্থ কর্মীদের ল্যাং মারতে।
পৃথিবীতে সবচেয়ে আপনজন পিতামাতা। অনেক পরে তারাও একসময় ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন। ভাবেন আমার ছেলেটা আগে এমন ছিল না। বিয়ের পর ওর অনেক পরিবর্তন হয়েছে। যদিও বাস্তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ঘটেও তাই।


তাই সম্পর্কগুলো টিকিয়ে রাখতে গেলে ব্যক্তিগত সমস্যাগুলো দুরে সরিয়ে সবসময়ই ফোকাসিং থাকাই হবে মূলমন্ত্র। তা নাহলে ভুল বুঝে রসাতলে যেতে পারে সব। মুহুর্তেই উলটপালট হয়ে ছন্নছাড়া হবেন আপনি!!! আর হাসবে সবাই।

কাজী ওয়াজেদ আলী’র ফেইসবুক থেকে সংগ্রহীত