জুয়েল হোসাইন

‘‘বাংলাদেশ আমার অহংকার’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে জন্ম হয় র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) এর। প্রতিষ্ঠালগড়ব থেকে র‌্যাব বাংলাদেশের মানুষের কাছে আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক। র‌্যাব তার প্রতিষ্ঠালগড়ব থেকে জঙ্গি ও সন্ত্রাস, ধর্ষন, মাদক, অস্ত্র, অপহরণ, হত্যাসহ বিভিন্ন প্রকার অবৈধ কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আপোষহীন অবস্থানে থেকে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে যা দেশের সর্বস্তরের জনসাধারন কর্তৃক ইতোমধ্যেই বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ০৩ অক্টোবর ২০২২খ্রি. তারিখ রাত্রি অনুমান ১১.৩০ ঘটিকার সময় র‌্যাব-১৪, সিপিএসসি, টিটিসি, ময়মনসিংহ ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার পল্লবী থানা এলাকা হতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী ১। সামছুন্নাহার (৫০), পিতা- জোবেদ আলী, সাং-হুরবাড়ী, থানা-ফুলবাড়ীয়া, জেলা-ময়মনসিংহকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

উল্লেখ্য, ফুলবাড়ীয়া থানাধীন হুরবাড়ী গ্রামের জোবেদ আলীর ছেলে মোঃ আব্দুল আউয়াল এর সাথে মামলার বাদী মোঃ শহিদুল্লাহ এর বোন মনোয়ারার বিয়ে হয়। বিয়ের অনুমান ০২ বছর পর ৭/৮ মাসের গর্ভবর্তী মনোয়ারাকে যৌতুকের দাবীতে গত ১১/১২/১৯৯৪ খ্রি. সময় রাত্রী অনুমান ০৯.০০ ঘটিকার সময় ভিকটিমের স্বামী আব্দুল আউয়াল, আউয়াল এর বোন গ্রেফতারকৃত আসামী সামছুন্নাহার, হাফেজা খাতুন এবং আউয়ালের ভাতিজা সাইফুল ইসলাম @ সইফুল পরস্পর যোগসাজসে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে নারকীয়ভাবে হত্যা করে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ভিকটিমের মুখে বিষ প্রয়োগ করে এটিকে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। ভিটিমের ভাই মোঃ শহিদুল্লাহর বিষয়টি সন্দেহ হওয়ায় উক্ত আসামীদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে এই মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বিজ্ঞ আদালত আসামী সামছুন্নাহারসহ এজাহারনামীয় সকল আসামীর বিরুদ্ধে দঃ বিঃ ৩০২/৩৪ ধারার অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত উক্ত মামলায় সকল আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেন। ঘটনার পর হতে গ্রেফতারকৃত আসামী সামছুন্নাহার দীর্ঘ ২৭ (সাতাশ) বছর যাবৎ দেশের বিভিন্ন জায়গায় নিজের পরিচয় গোপন করে গাঁ ঢাকা দিয়ে ছদ্মবেশে পালিয়ে ছিল। উক্ত আসামীকে র‌্যাব-১৪, সিপিএসসি, টিটিসি, ময়মনসিংহ এর বিশেষ গোয়েন্দা তৎপরতার মাধ্যমে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার পল্লবী থানা এলাকা হতে সনাক্ত করে অদ্য ০৩ অক্টোবর-২০২২ তারিখ অনুমান রাত্রি ১১.৩০ ঘটিকার সময় গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। উল্লেখ্য, উক্ত নারকীয় হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত অপর আসামী সাইফুল ইসলাম@ সইফুল (৪৫)কে গত ৩১ জুলাই-২০২২খ্রি. তারিখে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার দারুস সালাম থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামী সামছুন্নাহারকে সংশ্লিষ্ট আদালতে সোপর্দ করার নিমিত্তে ফুলবাড়ীয়া থানা, ময়মনসিংহে হস্তান্তর করা হয়।