নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সম্মেলনের আগে ঢাকা মহানগর (উত্তর-দক্ষিন) ছাত্রলীগের দ্বিবার্ষিক সম্মেলন হতে যাচ্ছে আগামীকাল ২ ডিসেম্বর।

গত মঙ্গলবার থেকে কেউ কেউ ছাত্রলীগের সভাপতি/সম্পাদকের স্বাক্ষরিত প্যাড সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে নতুন পদ পাওয়ার কথা জানিয়ে নিজেদের জাহির করছেন। মহানগর ছাত্রলীগ শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত চিঠিও আসছে ফেইসবুকে। নিজেদের আইডি থেকে ‘অভিনন্দন’ জানিয়ে পোস্ট ও করছেন তারা।

শেষ মূহুর্তে এভাবে পদ দেওয়ার পেছনে ‘বাণিজ্য’ প্রধান হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগও এসেছে।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা বৃহস্পতিবার গনমাধ্যমে বলেন, “সম্মেলনের দুই-একদিন আগে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য এভাবে পদ না দিলেও পারত। যারা পদ পেয়েছে, তারা যদি প্রকৃত অর্থেই রাজনীতি করে থাকে, তাহলে নিশ্চয়ই সম্মেলনেই পদ পেতে পারত।

“এখন এরকম যাচাই-বাছাই না করে অগঠনতান্ত্রিকভাবে পদ দিলে অনুপ্রবেশকারীরা ঢুকে সংগঠনে অস্থিরতা তৈরি করতেই পারে।”

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা মহানগর দক্ষিন ছাত্রলীগের এক সহসভাপতি গনমাধ্যমে বলেন, “পদ দেওয়ার ইচ্ছে থাকলে আরও আগে দিতে পারত। কালকে সম্মেলন, আজকে কেন পদ দিতে হবে। এখানে অবশ্যই আর্থিক লেনদেনের বিষয় আছে।

“তাছাড়া এই নতুন নেতাদের অনেকেই নতুন মুখ। অনেককেই আমরা ফেইসবুকের মাধ্যমেই চিনলাম।”

তার মতোই বক্তব্য আসে ঢাকা মহানগর ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আরও কয়েকজন নেতার কাছ থেকে।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমেদের সাথে একাধিক বার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও ফোন রিসিভ করেননি তিনি।