চাঁদপুর প্রতিনিধিঃ

চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার ৩ নং সাদুল্লাপুর ইউনিয়নে ইউসুফ মিয়ার অত্যাচারে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। তিনি ৩ নং সাদুল্লাপুর ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক।

ইউসুফ মিয়া দ্বারা সংঘটিত অপকর্ম-এলাকায় কারেন্ট দেয়ার নাম করে প্রত্যেক ঘর থেকে ১৫/২০ হাজার টাকা করে নিয়েছে। সরকারিভাবে রাস্তার বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ,টেন্ডারবাজি, সেটেলমেন্ট, ঈদগার টাকা আত্মসাৎ, আমিয়াপুর হেফজ মাদ্রাসার কোরবানির চামড়ার টাকা আত্মসাৎ, আমিয়াপুর হেফজ মাদ্রাসায় ঈদুল আজহার সময় গরীব ছাত্রদের খাওয়ার জন্য দেওয়া গোস্ত নিজের বাড়িতে রান্না করে নেতাকর্মীদের খাওয়ানো, আমিয়াপুর হেফজ মাদ্রাসার দানের টাকা আত্মসাৎ,আমিয়াপুর হযরত বিবি ফাতেমা মহিলা মাদ্রাসার দানের টাকা এবং মহিলা মাদ্রাসার ওয়াজ মাহফিলের ৯৪ হাজার টাকা আত্মসাৎ সহ, মসজিদের দানের টাকাও আত্মসাৎ করেছেন বলে প্রমান পাওয়া গেছে।

বিচারের নামে প্রহসন করে,টাকার বিনিময়ে বিচার করে, কেউ কিছু বললে তাকে গ্রামছাড়া করে অথবা মিথ্যা ইয়াবা ও অস্ত্র মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেয়। মাদকের যেমন :- ইয়াবা, ফেনসিডিল, মদ, গাজা, হেরোইন, কোকেন ইত্যাদির ব্যবসা করে। বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রের ব্যবসা করে।জমি দখল ও গরীব মানুষের জমি আত্মসাৎ,চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা । সরকারি ওয়াবদার (মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্প) ফিশারি গুলো সরকারি টেন্ডার ছাড়া পেশী শক্তির বলে দখল করে সেগুলোতে মাছ চাষ করছে। এর ফলে সরকার লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে এবং এই টাকা আমাদের দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

বিয়ে, সুন্নতেখাতনা,কুলখানি অনুষ্ঠানে চাঁদাবাজি করে। মতলবের সাধারণ মানুষ ইউসুফের এই সব অত্যাচার থেকে বাঁচতে চায়।

চাঁদপুর ২ আসনের এমপি, এডভোকেট নুরুল আমিন রুহুল বলেন-মতলবে সাধারণ মানুষের উপর কোন অত্যাচার আমি সহ্য করব না।সে যত বড়ই ক্ষমতাবান লোক হোক, এমনকি দলের লোক হলেও তাকে ক্ষমা করা হবে না।

সাংগঠনিকভাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাদার অফ হিউম্যানিটি, বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন করতে এবং দলকে সুসংগঠিত করতে । মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, সাধারণ মানুষের খুব কাছাকাছি থাকার জন্য এবং সাধারণ মানুষের যাতে কোন কষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য। এম পি রুহুল সাহেব আরো বলেন, আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ওসি সাহেবকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়ে দেব।

মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) জনাব মো: মহিউদ্দিন বলেন, আইনের উর্ধে কেউ নয়। অন্যায়কারী যেই হোক না কেন, তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। জনাব মহিউদ্দিন আরও বলেন, আমি মতলব উত্তরে যোগদানের আগে শ্রদ্ধেয় এসপি মিলন মাহমুদ স্যার আমাকে সঠিক দিক নির্দেশনা দিয়েছেন এবং বলেছেন অন্যায়, দুর্নীতির ও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি পালন করতে বলেছেন।

ইউপি চেয়ারম্যান জোবাইর আজিম পাঠান (স্বপন পাঠান) বলেন, এটা একটা দু:খ জনক ব্যাপার। এমনটা করা ঠিক হয়নি। আমি এমপি মহোদয়কে সাংগঠনিকভাবে ইউসুফ মিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করব এবং ইউসুফ মিয়ার অপকর্ম ও অবৈধ ব্যবসা সম্পর্কে এমপি রুহুল সাহেব ও মতলব উত্তরের ওসি মো: মহিউদ্দিন সাহেবকে জানাব। জোবাইর আজিম পাঠান (স্বপন পাঠান)আরও বলেন যে, আমরা খুবই লজ্জিত যে, এক জন আওয়ামিলীগের ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক এ কাজ করতে পারে আমার জানাছিল না।

এই ঘটনায় ৩নং ওয়ার্ড মেম্বার মাহবুব আলম বলেন– ইউসুফ মিয়া আমার গ্রামের, এমনকি আমার বাড়ির বাসিন্দা। আমি নিজেও এর ভুক্তভোগী। আমি ওসি সাহেবকে অবগত করব এবং আমি, চেয়ারম্যান ও অন্যান্য ইউপি সদস্য সহ এমপি মহোদয়ের কাছে যাব।

সূত্র: https://mbcnewsbd.com/5013