সবকিছুর দাম বাড়ায় চাপে পড়েছে নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা। কম দামে টিসিবির পণ্য বিক্রিতেও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার সকালে ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ অর্গানাইজেশন-ইডিআরও’র এক ওয়েবিনারে এসব মন্তব্য করেন আলোচকরা। এসময় অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আরও সতর্ক হওয়ার তাগিদ দেন বিশ্লেষকরা।
বিশ্বব্যাপী বেড়েছে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের দাম। দেখা দিয়েছে ডলারের সংকটও। যার প্রভাব পড়েছে দেশের বাজারে। বেড়েছে মূল্যস্ফীতি, চাল-ডালসহ সব নিত্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। এসব বিষয়ে আলোচনা হয় ইডিআরও এর ওয়েবিনারে।
আইএফপিআরআই সিনিয়র রিসার্চ ফেলো সুরেশ বাবু বলেন, আমদানি করতে হয় বেশিরভাগ পণ্যই। সে কারণে দেশের বাজার চড়া। কিন্তু দেশীয় পণ্যের বাজারও নিয়ন্ত্রণে নেই। ফলে দুর্ভোগে পড়েছে নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা।
ইডিআরও-এর সহযোগী গবেষক হেলাল আহমেদ জনি বলেন, মধ্যসত্ত্বভোগীর কারণে কমছে না খাদ্যপণ্যের দাম। এমনকি টিসিবির কর্মসূচি নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। ফলে সুফল পাওয়া যাচ্ছে কম।
পিআরআই নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, ডলার সংকটে আমদানি কমানো কোনো সমাধান নয়। এতে পণ্যের ওপর চাপ পড়ে, বেড়ে যায় দাম। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নীতি পরিবর্তনের ওপর জোর দেন।
আলোচনায় উঠে আসে, গত বছরের মার্চে রিজার্ভ ছিল ৪৪ বিলিয়ন ডলার, এখন সেটা দাঁড়িয়েছে ৩১ বিলিয়ন ডলারে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশে। রাশিয়া থেকে খাদ্যপণ্য আমদানি করে বাংলাদেশ। ইউক্রেন থেকেও আসে সার। দুদেশের যুদ্ধের কারণে বেড়েছে এসব পণ্যের দাম। যার চাপ নিতে হচ্ছে নিম্ন ও মধ্যবিত্তকে।