মিশু, নোয়াখালী

দেশের বিভিন্ন জেলার মতো নোয়াখালীতে চলতি বোরো ধানের আবাধে ছত্রাকজাতীয় নেক ব্লাস্ট রোগের আক্রমণ দেখা দিয়েছে।
ধানের গীট ও শীষ শুকিয়ে অধিকাংশ ধান চিটা হয়ে সাদা বর্ণ ধারন করছে।এতে হতাশায় দিন কাটছে কৃষকদের। চলতি বোরো মৌসুমে এক-তৃতীয়াংশ জমিতে এই নেক ব্লাস্ট রোগের প্রকোপ দেখা যাচ্ছে।

উফশী জাতের আগাম একটি জাত ব্রি-ধান-২৮ চাষ করেছেন অনেকে, অন্যন্য জাতের তুলনায় এ ধানে ব্লাস্টের আক্রমণ বেশি দেখা যাচ্ছে। কিছু কিছু জমির পুরো ধানই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে কৃষকগন একদিকে নিজেদের খাবার জোগান নিয়ে রয়েছেন দুশ্চিন্তায় অন্য দিকে আর্থিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠা নিয়ে শংকায় রয়েছেন। ঝণ নিয়ে চাষ করা কৃষকগণ ঝণের টাকা পরিশোধ নিয়ে চিন্তিত।

সদর উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের কৃষক নুরুল আমিন বলেন, আমি প্রতি বছর উফশী ও হাইব্রিড বিভিন্ন জাতের ধানের চাষ করি। অনেক টাকা খরচ করে চাষকৃত জমিতে গিয়ে দেখি ২৮, ৬৭ সহ কিছু হাইব্রিড ধান ৮০-৯০ ভাগ ব্লাস্টের আক্রমণে চিটা হয়ে যাচ্ছে, এতে আমি মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়ছি। কৃষক মোঃ মানিক বলেন ‘ এমনিতেই সার, কীটনাশক ও জ্বালানির দাম বেশি তার উপর এখন আবার নেক ব্লাস্টে আমাদের এই সর্বনাশ।

উপজেলা কৃষি অফিসার মোশরেফুল হাসান বলেন’ আমরা ব্রি-ধান ২৮ রোপণে কৃষকদের নিরুৎসাহিত করেছি। কিছু কিছু জমিতে বিপিএইচ ও নেক ব্লাস্ট রোগ দেখা দিয়েছে।
আমরা আক্রান্ত এলাকা সমূহ চিহ্নিত করে এ রোগ প্রতিরোধে বিনামূল্যে ঔষধ সরবরাহ করছি এবং কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। । এ ছাড়াও ক্ষতিগ্রস্হ কৃষকদের তালিকা করে আমরা তাদের সহায়তা করবো।

উল্লেখ্য এবছর সদর উপজেলায় প্রায় ৮০৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে, যার মধ্যে ৬৮০০ হেক্টর হাইব্রিড ও ১২৫০ হেক্টর উফশী জাতের ধান রয়েছে।