নিজস্ব প্রতিবেদক: কুমিল্লা

সাংবাদিক পরিচয়ে সোহাইবুল ইসলাম সোহাগ এর চাঁদাবাজি হয়রানি ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভূক্তভোগি এক সাংবাদিক।

সোমবার বিকালে নগরীর কান্দিরপাড়ের একটি সেন্টারে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন দৈনিক আজকের পত্রিকা ও মুক্ত খবর পত্রিকার দাউদকান্দি প্রতিনিধি আনিসুর রহমান খান।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, দেশব্যাপী অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ভূয়া ডাক্তারের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের নির্দেশে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। এ সক্রান্ত বিষয়ে দেশের সকল মিডিয়াগুলো ফলোও করে সংবাদ প্রকাশ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় একজন সংবাদকর্মী হিসেবে বিভিন্ন অভিযানের সংবাদ প্রকাশ করে আসছি।

গত ২৬ জানুয়ারি দাউদকান্দির ইলিয়টগঞ্জ (উঃ) ইউনিয়নের সিঙ্গুলা গ্রামে বিষ থেকে নির্বিষ নামে অপচিকিৎসার তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে আমাকে লাঞ্ছিত করেছে মো. মনির হোসেন নামে এক অপচিকিৎসক। আমাকে মারধর সহ প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে ওই অপচিকিৎসক।

এসময় প্রশাসনসহ সে কিছু সাংবাদিককে প্রতিমাসে মোটা অংকের মাসোহারা দেয় বলে তার কিছুই করতে পরেবেনা বলে হুমকি দেয়। ওই ঘটনায় শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) রাতে দাউদকান্দি মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।

এ বিষয়ে আমি নিউজ করতে গেলে সাংবাদিক পরিচয়ে সোহাইবুল ইসলাম সোহাগ কেন ওই কথিত চিকিৎসকের কাছে গেলাম বলে আমাকে হুমকি দামকি দেয়। আমাকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে চাঁদাবাজ বানিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।

পরে সোমবার (২৯ জানুয়ারি) দৈনিক আমাদের কুমিল্লার ও ডাক প্রতিদিনের মিথ্য তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে। এ বিয়য়ে আমি আইনগত পদক্ষেপ নিয়েছি এবং তাদের উকিল নোটিশও পাঠিয়েছি।

সংবাদ সম্মেলনে আনিস খান আরো বলেন, সাংবাদিক পরিচয়ে সোহাইবুল কুমিল্লার সকল অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক, ভূয়া ডাক্তার থেকে প্রশাসন ও জেলার সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার নামে মোটা অংকের চাঁদা তুলে নিজেই ভোগ করেন।

এছাড়া বিভিন্ন হসপিটালে কোন রোগী স্বাভাবিকভাবে মৃত্যু হলেও ভূল চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে বলে হুমকি দামকি দিয়ে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করেন। সম্প্রতি কুমিল্লার বিভিন্ন হাসপাতালে এমন কয়েকটি অপ্রতিকর ঘটনা ঘটেছে।

এ নিয়ে প্রকৃত সাংবাদিকদের সাথে ডাক্তারদের সাথে বৈরিতা তৈরী হচ্ছে। এছাড়া সোহাইবুল জেলার বিভিন্ন ব্রিক ফিল্ড, বেকারীসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত চাঁদাবাজি করে আসছে।

আমি একজন সংবাদকর্মী হিসেবে তার কাছ থেকে রেহাই পায়নি। ওই কথিত ভূয়া ডাক্তরের বিরুদ্ধে নিউজ করার ফলে নাকি ডাক্তারের ক্ষতি হয়েছে। তার ক্ষতিপূরন বাবদ আমার কাছ থেকে সে মোটা অংকের টাকা দাবী করে। টাকা না দিলে সে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করবে। চাঁদা না দেওয়াই আমার বিরুদ্ধে একটি মিথ্য সংবাদ প্রকাশ করে।

আমি দাউদকান্দি উপজেলার একটি ইউনিয়নের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, সংবাদকর্মী ও ব্যবসায়ী। মিথ্যা ও কাল্পনিক সংবাদ প্রকাশ করে আমাকে সামাজিকভাবে মানহানি করা হয়েছে।

আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করছি এবং আমার সহকর্মী জেলার কর্মরত সকল সাংবাদিকদের কাছে বিচার প্রার্থিনা করছি।