কুমিল্লা ৬ আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের বাড়ি সহ শতাধিক নেতাকর্মীর বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। মূলত সরকার পতনের পর ৫ ই আগষ্ট থেকে নেতাকর্মীর বাড়ি ঘর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা প্রকট আকার ধারণ করে। কুমিল্লা শহরের আশেপাশের এলাকা পরিণত হয় রণক্ষেত্রে । বিশেষ করে মনোহরপুর, ধর্মপুর , কোটবাড়ি ,কালির বাজার, চৌধুরী পাড়া, কাপ্তান বাজার, চাঁনপুর, আশোকতলার অবস্থা ভয়াবহ আকার ধারন করে।
এর মধ্যে অন্যতম হলেন কুমিল্লা নগরীর ৫ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি মো: লিয়াকত আলী, যার পশ্চিম চাঁনপুরস্থ বাসা ও ব্যবসায় আক্রমণ করে ছাত্র জনতা। এ সময় তার বাসায় ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তান্ডব চালায় বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা এবং মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়।
শাহ আলম নামে এক আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে উত্তেজিত জনতা। ওই বাড়িটি থেকে ছয়টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শাহ আলম কুমিল্লা নগরীর ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি ওই ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ছিলেন। সোমবার (৫ আগস্ট) রাতে নগরীর অশোকতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সোমবার রাতে এবং মঙ্গলবার সকালে ওই বাড়ি থেকে মোট ৬ টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন- নগরীর অশোকতলা এলাকার আশিক (১৪), শাকিল হোসেন (১৪), শাওন (১২), রনি (১৬), মহিন উদ্দিন (১৭) ও মাহফুজুর রহমান (২২)।
কুমিল্লার আওয়ামী পন্থী আরেক কাউন্সিলর সৈয়দ রায়হান আহমেদ এর মোগলটুলীর বাসাতে আক্রমণ ও অগ্নিসংযোগ এর ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া কুমিল্লার বড়ুরা, চৌয়ারা, চান্দিনা সহ অসংখ্য আওমী ঘরনার নেতা ও কর্মীদের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। তাছাড়া কুমিল্লার মহানগর আওয়ামিলীগ কার্যালয়ে আক্রমন, ভাঙচূর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। মূলত ৫ ই আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে আওয়ামি রাজনীতিবিদ, নেতা ও কর্মীরা পলাতক রয়েছেন।
এসব বিষয়সহ জেলার সার্বিক পরিস্থিতির বিষয়ে জানতে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলা প্রশাসক খন্দকার মুশফিকুর রহমান ও পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলামকে মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তারা রিসিভ করেননি।