ডেস্ক নিউজ : বস্তু নিষ্ঠ ও সৃজনশীল সাংবাদিকতায় বিশ্বাস সাভার উপজেলায় আশুলিয়া প্রেসক্লাব এর সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ সাঈম সরকারের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করানো হয়।

জানা যায়: মোঃ সাঈম সরকার একজন প্রতিবাদী সাংবাদিক। আশুলিয়া প্রেসক্লাবের ৫ম দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন ২০১৭-২০১৮ইং সালে মার্চ মাসে বিপুল ভোটে প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়। ৬ষ্ঠ দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন ২০১৯-২০২০ইং সালে মার্চ মাসে দপ্তর সম্পাদক পদে ১৯ ভোট পেয়ে তার প্রতি পক্ষের নিকট হেরে যায়। এরপর থেকে নির্বাচিত হওয়া কার্য্যনির্বাহী কমিটির দ্বারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে লাঞ্চিত হতে থাকে। গত ১৮/০৬/২০১৯ইং তারিখ বিকাল অনুমান ৪:০০ ঘটিকায় উক্ত সংগঠনের কার্যালয়ের সামনে নব নির্বাচিত নেতাদের দ্বারা তিনি ব্যাপক লাঞ্চিত হয়। এক পর্যায়ে তার গায়ে হাত তুলে লোক সমাজে তাকে হেয় ও সম্মান হানি করে সংগঠনটির সভাপতি মোঃ শহিদুল্লাহ্ মুন্সী। এমন কি তাকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলার হুমকী প্রদান করে থাকে। ঘটনার ২৪ ঘন্টা পার না হতেই ০৪ জনকে বিবাদী করে মোঃ সাঈম সরকার সহ ২/৩ জন অজ্ঞাতনামা সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় একটি সাজানো মিথ্যা মামলা দায়েল করানো হয়। জানা যায় মামলার বাদী একজন ছোট মুদি দোকানদার। তার গ্রামের বাড়ী পারুলিয়া ভার্কুতা, থানা- দৌলতপুর, জেলা- মানিকগঞ্জ। মামলার বাদী মকিম সিকদার তার স্বাক্ষরিত অভিযোগে উল্লেখ করেন যে, এস.এ. পরিবহনে ৮৩,০০০/- (তিরাশি হাজার) টাকা প্রদান করিয়া বেনসন সিগারেট নিয়ে তার গন্তব্যে যাওয়ার সময় মাঝ পথে গেলে সিগারেট ও ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা বিবাদীগণ নিয়া যায়। কিন্তু উক্ত মামলার ০১নং বিবাদী জহুরুল ইসলাম গ্রেপ্তার হওয়ার পর অভিযোগটি পুনরায় নতুন করে লেখা হয়। এই অভিযোগে অভিযোগকারী বেনসন সিগারেটের পরিবর্তে গোল্ডলিপ ও স্টার সিগারেট-এর কথা উল্লেখ করেছে এবং সেটা কোন প্রতিষ্ঠান থেকে ক্রয় করেছে, তার নাম উল্লেখ্য নেই।

তথ্য সংগ্রহকালে এস.এ. পরিবহন কুরিয়ার সার্ভিস, বাইপাইল আশুলিয়ায় কর্তব্যরত কর্মকর্তা তাদের জমা খাতা ও পার্সেল উত্তলকারীর স্বাক্ষরিত খাতা ভাল ভাবে দেখে সাংবাদিকদের জানায় যে, ১০/০৪/২০১৯ইং তারিখে ৮৩,০০০/- (তিরাশি হাজার) টাকার কোন পার্সেল বা সিগারেট কেহই উত্তোলণ করেনি এবং উক্ত ৮৩,০০০/- (তিরাশি হাজার) টাকা এক সাথে জমা হয়নি। তাছাড়া তাদের পরিবহনে কোন সিগারেট-এর চালান আসে না।

আশুলিয়া এরিয়ার সিগারেট কোম্পানী পরিবেশকের কাছে জানতে চাইলে, তারা সেলস্ ম্যানদের বিক্রয় রশিদ ও উক্ত ১০/০৪/২০১৯ইং তারিখের জমা হিসাব খাতা দেখে বলেন, একসাথে এত টাকার সিগারেট আমাদের বিক্রয় হয় নাই। তাছাড়া খুচরা বিক্রেতা বা দোকানদারদেরকে সর্বোচ্চ ২/৩ হাজার টাকার বেশি সিগারেট দেওয়া হয় না।

সিগারেট প্রাপ্তি ও মামলার বিষয় বস্তু সম্পর্কে জানতে চাইলে মামলার বাদী মকিম সিকদার সঠিক কোন জবাব দিতে পারে নাই। তিনি জানায় ১নং বিবাদী জহিরুল ইসলাম তার পাশের গ্রামের লোক এবং সে পূর্ব পরিচিত। দীর্ঘদিন যাবৎ তার সাথে লেনদেন নিয়ে বাজাবাজি চলছিল। এক পর্যায়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের কথা চিন্তা করে আমার আত্মীয়ের স্মরণাপন্ন হই। সে বর্তমান প্রেসক্লাবের সভাপতি শহিদুল্লাহ মুন্সীর ভাই রতন সাহেবের গাড়ীর ড্রাইভার। ঐ সূত্র ধরে শহিদুল্লাহ্ মুন্সীর মাধ্যমে মামলাটি আশুলিয়া থানায় দায়ের করি।

তিনি ভুলভাল কথাবার্তায় আরো জানায় (ক) এস.এ. পরিবহনের মাধ্যমে টাকা জমা দিয়ে বেনসন সিগারেট, (খ) বাইপাইল অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির নিকট থেকে গোল্ডলিফ ও স্টার ও (গ) জহুরুলের নিকট থেকে (ঘ) তার বড় ভাই কালাম সিকদার আজিজ কোম্পানীতে চাকুরী করে, তার নিকট থেকে সিগারেট ক্রয় করেছে। আশুলিয়া প্রেসক্লাবের সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ সাঈম সরকার সাংবাদিকদের জানায় মামলাটি সম্পূর্ণ সাজানো, মিথ্যা এবং বানোয়াট। যাহা একটি কূচক্র মহলের ইন্দনে তাকে হয়রানী করার জন্য করা হয়েছে। তাছাড়া এই মামলার অন্যান্য বিবাদীগণ আমার অচেনা এবং বাদীকেও চেনা জানা নাই। ১৪ বছর সাংবাদিকতার বয়সে এই প্রথম দেখলাম কাকের মাংস কাকে খায়।

একদিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই সুমন সাহেব বলেন অভিযোগকারী যেহেতু অভিযোগ করেছে, সেহেতু তদন্ত শেষ হওয়ার আগে কিছু বলা যাচ্ছে না বলে সাংবাদিকদের জানায়।