দুই সপ্তাহের মধ্যে একই ব্যক্তি দুবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় ইতালিতে বেশ আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি হয়। দেশটির নাগরিকরা ভোট ছাড়া এভাবে সরকার নির্বাচনে সন্তুষ্ট না হলেও তারা মনে করেন আগামী নির্বাচন পর্যন্ত টিকে থাকাই হবে নতুন সরকার ও নতুন মন্ত্রী সভার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আবারও কোন্তেকে দায়িত্ব দেন রাষ্ট্রপতি। চলতি মাসে সরকার সংকটের পর কয়েক সপ্তাহ ধরে এ নিয়ে ইতালির রাজনীতিতে চলছিল কঠিন সমীকরণ।
অবশেষে সকল জল্পনা কল্পনার অবসান হল নতুন সরকার নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী কন্তে পদত্যাগের পর ইতালিতে চরম সরকার সংকট দেখা দেয়।
প্রসঙ্গত ২০১৮ সালে নির্বাচনে কোন দল একক ভাবে সরকার গঠন করার মত ভোট পায়নি। ফলে কট্টর ডানপন্থী লেগা নর্দ সাধারণ সম্পাদক সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সালভিনি ও ফাইষ্টার মুভমেন্ট লুইজি দি মাইও জোট বেঁধে সরকার গঠন করে।
এক বছরের মধ্যে সরকার পদত্যাগ করায় চরম অস্থিরতা দেখা দেয় দেশটিতে। পাশাপাশি লেগা নর্দের সঙ্গে ফাইভস্টার মুভমেন্টের কথায় বনিবনা না হওয়ায় তাদের জোট ভেঙে যায়।
এদিকে ফাইভস্টার মুভমেন্ট ডেমোক্রেটিক পার্টি (পিডি)’র সঙ্গে জোট বেঁধে আগের প্রধানমন্ত্রীকে নির্বাচিত করে নতুন মন্ত্রী পরিষদ গঠনের জন্য আলাপ-আলোচনা অব্যাহত রেখেছে।