সরকারি কর্মকর্তাদের বাংলাদেশ বিমানে ভ্রমণ করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘এখন বিমানে উঠলে গর্বে বুক ভরে যায়। আমি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সরকারি অফিসাররা যে যেখানেই যান, বাংলাদেশ বিমানেই যেতে হবে।’
আজ মঙ্গলবার বিকেলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশের চতুর্থ ড্রিমলাইনার ‘রাজহংস’ উদ্বোধন শেষে এসব কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দশটি ড্রিমলাইনারের নাম আমি দিয়েছি, যাতে বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে সবাই পরিচিত হতে পারেন।’ পণ্য রপ্তানির জন্য দুটো কার্গো বিমান কেনা ও কার্গো ভিলেজ গড়ে তোলার কথাও বলেছেন তিনি।
একটানা ক্ষমতায় থাকার কারণেই দেশের উন্নয়ন হচ্ছে, জনগণ সুফল পাচ্ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘মাঝে মাঝে আমরা ঠাট্টা করতাম যে, আমাদের ঢাকা শহরে এক সময় যে বাসগুলো চলত সেগুলো খুবই বিধ্বস্ত অবস্থায় ছিল। সেগুলোকে আমরা ডাকতাম মুড়ির টিন বলে। এরকম একটা অবস্থা ছিল আমাদের বিমানে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবেই বিরোধী দলে ছিলাম তখন কিছু করার ক্ষমতা ছিল না। কিন্তু মনে মনে একটা আকাঙ্ক্ষা ছিল যে, যখনই সময় পাব এ অবস্থা থেকে বিমানকে উত্তরণ ঘটাব।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশ একটা উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিশ্বে স্বীকৃতি পেয়েছে। আমাদের প্রবৃদ্ধি অর্জন অনেক বেশি। অনেক দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি। পৃথিবীর বহু দেশ দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জন করলেও তাদের মূল্যস্ফীতি বেশি। আমরা প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি ধরে রাখতে পেরেছি।’