বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বাসায় ছাত্রদলের কাউন্সিল শুরু হয়েছে। আজ বুধবার রাত আট থেকে এ কাউন্সিল শুরু হয়। কাউন্সিলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা জানান, আদালতের স্থগিতাদেশের সঙ্গে এ কাউন্সিল করতে কোনো সমস্যা হবে না।
বুধবার বিকেলে ছাত্রদলের কাউন্সিলর, প্রার্থী ও নেতা-কর্মীরা বিএনপির নয়াপল্টন অফিসের সামনে জড়ো হতে থাকেন। বিকেল পাঁচটার পরে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কাউন্সিলর, প্রার্থী ও দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের সঙ্গে স্কাইপের মাধ্যমে বৈঠক করেন। সে বৈঠক থেকেই মির্জা আব্বাসের শাহজাহানপুরের বাসায় আজ রাতেই কাউন্সিল করার সিদ্ধান্ত হয়।
ছাত্রদলের সাবেক নেতা ও বর্তমানে বিএনপির বিভিন্ন পদে থাকা নেতাদের মধ্যে বিকেলের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, শামসুজ্জামান দুদু, রুহুল কবির রিজভী, ফজলুল হক মিলন, খায়রুল কবির খোকন, শহিদউদ্দিন চৌধুরী, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, শফিউল বারী বাবু প্রমুখ। এরা সবাই ছাত্রদলের কাউন্সিল পরিচালনার বিভিন্ন দায়িত্বে আছেন।
ছাত্রদলের সাবেক নেতা ও বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘সবাইকে আমরা ডেকেছি। রাত ৮টায় কাউন্সিল প্রক্রিয়া হবে। কাউন্সিলরদের সঙ্গে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নিয়ে ভোটের মাধ্যমেই কমিটি হবে।’ আদালতের স্থগিতাদেশ প্রশ্নে বলেন, ‘আমরা রকম কোনো সাংঘর্ষিক দেখি না। আমাদের আইনজীবীরা তাঁদের বক্তব্য আগামীকাল আদালতে উপস্থাপন করবেন।’ কাউন্সিল করতে কোনো সমস্যা বলে মনে করছেন না তিনি।
কাউন্সিলর ও প্রার্থীদের কয়েকজন জানান, প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমেই কাউন্সিল হবে বলে তাঁরা জানেন।
ছাত্রদলের ষষ্ঠ কাউন্সিল হওয়ার কথা ছিল ১৪ সেপ্টেম্বর। তবে ১২ সেপ্টেম্বর সাবেক কমিটির এক নেতার করা মামলায় এ কাউন্সিলের ওপর আদালত স্থগিতাদেশ দেন এবং একই সঙ্গে বিএনপির নেতাদের জড়িত থাকার বিষয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেন।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনের প্রক্রিয়ায় এবার সভাপতি সাধারণ সম্পাদক পদে সরাসরি ভোট হবে। সারা দেশের ৫৮০ জন কাউন্সিলর এ দুই পদের জন্য ভোট দেবেন। সভাপতি পদে লড়ছেন নয়জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ১৯ জন প্রার্থী।