সপ্তাহান্তে যদিওবা ছুটি মেলে, চাইলেই প্রকৃতির কাছাকাছি কোথাও গিয়ে দু’দণ্ড জিরিয়ে নেওয়ার জায়গা পাওয়া যেন দায়। সাপ্তাহিক ছুটিতে রাজধানীর বুকে পড়ে থেকে বিরক্ত হতে না চাইলে ঘুরে আসুন কিশোরগঞ্জের নিকলী হাওর। নামের মতোই নান্দনিক এই হাওরের চারদিক বিস্তৃত সবুজ ও উথাল-পাতাল জলের ঢেউ মনে এনে দেবে প্রশান্তি।

কিশোরগঞ্জ জেলার আকর্ষণীয় দিক এখানকার হাওরগুলো। এই হাওর এলাকা ‘গেটওয়ে’ নামেও প্রসিদ্ধ। নিকলী হাওর এখানকার হাওরগুলোর মধ্যে রূপবৈচিত্র্যে অন্যতম। এটি কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলী উপজেলায় অবস্থিত। শুকনো মৌসুমে এখানে নিধুয়া পাথার আর ফসলি জমি দেখা যায়। অথচ বর্ষা নামতেই চারদিকে অথৈ জলরাশির হাতছানি। এই জলরাশির মাঝেই দেখা যায় ছোট ছোট গ্রাম, সমুদ্রের বুকে একখণ্ড দ্বীপের মতো ভেসে আছে যেন। গ্রাম আর বিস্তীর্ণ জলরাশির আছড়ে পড়া ঢেউ কেটে নৌকার পাটাতনে দিগন্তের বুকে দু’হাত মেলে দাঁড়িয়ে থাকলে এক স্বপ্নালু ঘোর আচ্ছন্ন করে মনকে। নৌকা নিয়ে একটু গভীরে গেলেই আর গ্রাম চোখে পড়বে না, সম্মুখে শুধুই দিগন্তের মায়াকাড়া সুর।

হাওরে ঘুরতে ঘুরতে চলে যান ছাতির চরে। নৌকা নিয়ে যেতে পারবেন জলে ডুবে যাওয়া বনের সারি সারি উঁচু গাছের বুক চিরে। জ্যোৎস্না রাত নিকলী হাওরে বেড়ানোর জন্য আদর্শ জায়গা। নিশুতি রাত, স্বচ্ছ জলে চাঁদের আছড়ে পড়া আলো এবং নৌকার গায়ে হাওরের অবিরাম জলকেলি ছাড়া আর কিছু দেখা যায় না।

দিনের বেলা চোখে পড়বে ছোট ছোট নৌকা নিয়ে জেলেরা মাছ ধরতে বেরিয়ে পড়েছেন হাওরের বুকে। আর জলের ওপর সূর্যোদয়ের লাল আভার ছন্দবদ্ধ আবেগ। তাহলে আর দেরি কেন, এক বা দুই দিনের ট্যুরে বেরিয়ে পড়ুন নিকলি হাওরের উদ্দেশে।

রাজধানী ঢাকার তীব্র যানজট আর অসহনীয় গরমের কথা তো নতুন কিছু নয়। সপ্তাহান্তে যখন ছুটি মেলে চাইলেই প্রকৃতির কাছাকাছি কোথাও গিয়ে দু দণ্ড জিরিয়ে নেয়ার জায়গা পাওয়া দায়। সামনেই আসছে বর্ষাকাল। এই বর্ষায় রাজধানীর বুকে পড়ে থেকে বিরক্ত নাহতে চাইলে ঘুরে আসুন কিশোরগঞ্জের নিকলী হাওড়। আর উপভোগ করুন প্রাণচঞ্চল বর্ষার মায়াবী সৌন্দর্য। নামের মতোই নান্দনিক এই হাওড়। চারদিকে বিস্তৃত সবুজ আর উতাল পাতাল পানির ঢেউ মনকে করে তুলবে প্রশান্ত। একদিনের ট্যুর হিসেবেও নিঃসন্দেহে এটি দারুণ জায়গা।

কিশোরগঞ্জ জেলার আকর্ষণীয় দিক এখানকার হাওড় গুলো। কিশোরগঞ্জ জেলা হাওড় এলাকা ‘গেইটওয়ে’ নামে খ্যাত। বেশ কয়েকটি হাওড় আছে এখানে। নিকলী হাওড় এখানকার হাওড় গুলার মধ্যে রূপবৈচিত্রে অন্যতম। এটি কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলী উপজেলায় অবস্থিত।

শুকনো মৌসুম গুলোয় এখানে ধু ধু প্রান্তর আর ফসলী জমি দেখা যায় অথচ বর্ষা নামতেই চারিদিকে অথৈ জলরাশির হাতছানি। এই জলরাশির ফেরিয়ে মাঝেমধ্যে দেখা যায় ছোট ছোট গ্রাম, সমুদ্রের বুকে এক খণ্ড দ্বীপের মতো ভেসে আছে যেনো। গ্রাম আর বিস্তীর্ণ জলরাশির আছড়ে পড়া ঢেউ কেটে নৌকা যখন এগিয়ে যায় আর পাটাতনে দাঁড়িয়ে দিগন্তের বুকে দু হাত মেলে দাঁড়িয়ে থাকলে এক স্বপ্নালু ঘোর আচ্ছন্ন করবে। নৌকা নিয়ে একটু গভীরে গেলেই আর গ্রাম চোখে পড়বে না, সম্মুখে শুধুই দিগন্তের মায়াকাড়া সুর। অথচ বর্ষা কেটে যেতেই ক্রমে এখানে ফুটে উঠবে ধানের শিষ আর পথঘাট।

হাওড়ে ঘুরতে ঘুরতে চলে যেতে পারেন ছাতির চরে। পানিতে ডুবে যাওয়া বনের সারি সারি উঁচু গাছের ঠিক বুক চিরে চলতে পারবেন নৌকায় চড়ে। এর সৌন্দর্য দেখতে অনেকটা রাতার গুলের মতো।

জ্যোৎস্না রাত নিকলী হাওড়ে কাটানোর জন্য আদর্শ জায়গা। নিশুতি রাত, স্বচ্ছ জলে চাঁদের আঁচড়ে পড়া আলো আর নৌকার গাঁয়ে হাওড়ের অবিরাম জলকেলি ব্যতীত আর কোন সাড়াশব্দ কিংবা আলো চোখে পড়বে না। এ এক অপার সৌন্দর্য। এমনি এক ঘোরে রাত কাটিয়ে সকালে চোখে পড়বে ছোট ছোট নৌকা নিয়ে জেলের দল মাছ ধরতে বেরিয়ে পড়েছে হাওড়ের বুকে। আর পানিতে সূর্যোদয়ের লাল আভার ছন্দবদ্ধ আবেগ।

যাওয়া আসা

ঢাকা থেকে ট্রেনে বা বাসে যেকোনো ভাবেই চলে আসতে পারেন কিশোরগঞ্জ। কমলাপুর হতে সকালে এগারোসিন্দুর ট্রেনে করে দুপুর নাগাদ পৌঁছে যাবেন কিশোরগঞ্জ। ট্রেন ভাড়া শ্রেণি ভেদে  ১২৫ থেকে ২৫০ টাকা। এছাড়া মহাখালী হতে বাসে কিশোরগঞ্জের গাইটাল বাস স্ট্যান্ডে নেমে চলে আসতে হবে রেল ষ্টেশনে। বাস ভাড়া ২০০-২৫০ টাকা।  রেল ষ্টেশনের সামনে  থেকে সি এন জি করে নিকলী হাওড়। তারপর ঘাট থেকে নৌকা ভাড়া করে ছুটে যাবেন হাওড়ের বুকে।

থাকা খাওয়া

নিকলী তে ভালো মানের কোন থাকার জায়গা নেই। নৌকা ভাড়া করে রাতটা নৌকাতেই হেসে খেলে কাটিয়ে দিতে পারেন। এছাড়া থাকতে হলে যেতে কিশোরগঞ্জ জেলা সদরে।

আর খাওয়া বলতে এখানকার হাওড়ের তাজা মাছ দিয়েই ভালো ভুরি ভোজ হয়ে যেতে পারে।