পদ্মা নদীর তীব্র স্রোতে লঞ্চ চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে ফেরি চলাচল করলেও তা ব্যাহত হচ্ছে। নদী পার হতে সময় লাগছে আগের তুলনায় দ্বিগুণ।
স্রোতে লঞ্চ চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় গতকাল শুক্রবার দুপুর থেকে রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেন। আজ শনিবার সকালেও তা চালু হয়নি।
এদিকে লঞ্চের যাত্রীদের ফেরিতে পারাপার হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এতে করে দৌলতদিয়া প্রান্তে পারাপারের অপেক্ষায় আটকা পড়েছে কয়েকশ পণ্যবাহী ট্রাক ও বেশ কিছু যাত্রীবাহী বাস। ভোগান্তিতে পড়েছে শতশত মানুষ।
দৌলতদিয়া ঘাট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত কয়েক দিন ধরে পদ্মার তীব্র স্রোতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ ও ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। নদী পার হতে সময় লাগছে আগের তুলনায় দ্বিগুণ। এ ছাড়া স্রোতের কারণে ভাঙন দেখা দিয়েছে ফেরি ঘাট এলাকায়। ফলে ১ ও ২ নম্বর ফেরি ঘাট বন্ধ রয়েছে এবং ভাঙন রোধে কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
বর্তমানে এ রুটে ১৬টির মধ্যে ১০টি ফেরি চলাচল করছে। তবে স্রোতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সবগুলো ফেরি চলতে পারছে না। এ ছাড়া দৌলতদিয়া প্রান্তের ছয়টি ফেরি ও চারটি ঘাট চালু রয়েছে।
দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাটের সুপারভাইজার মো. মোফাজ্জেল হোসেন জানান, তীব্র স্রোতের কারণে গতকাল দুপুর থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে । আজ সকালেও তা চালু হয়নি।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মাহবুব হোসেন জানান, তীব্র স্রোতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ভাঙন ঝুঁকিতে থাকায় দৌলতদিয়া প্রান্তের দুটি ঘাট বন্ধ রয়েছে। ফলে নদী পারের অপেক্ষায় কিছু যানবাহন সিরিয়ালে রয়েছে। বর্তমানে এ রুটে ১০টি ফেরি চলাচল করছে। চারটি ঘাট সচল রয়েছে।