হিন্দু সম্প্রদায়ের সব থেকে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ৫০০ টন ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এর অংশ হিসেবে আজ রবিবার প্রথম চালানে ২৪ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে রপ্তানির কথা থাকলেও কাগজপত্র ও মাছের ট্রাক না আসায় রপ্তানি হয়নি।
কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বলছে, মাছ রপ্তানির জন্য কেউ কোনো কাগজপত্র তাদের দপ্তরে দাখিল করেনি। তবে সোমবার সকালে কাস্টম হাউজে কাগজপত্র দাখিল করা হবে বলে জানা গেছে।
ইলিশ মাছ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের বেনাপোলের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এমি এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি মহিদুল হক জানান, দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ৫০০ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। পর্যায়ক্রমে ১০ অক্টোবরের মধ্যে ৫০০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির নির্দেশনা রয়েছে। রবিবার বিকেলে ৬ ট্রাক মাছের মধ্যে মাত্র এক ট্রাক মাছ আমরা হাতে পেয়েছি। আজ রাতের মধ্যে আরো ৫ ট্রাক মাছ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার সকালে মাছ রপ্তানির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আমরা কাস্টমে দাখিল করবো। তারপর মাছ রপ্তানি হবে। ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশের কাস্টমস থেকে শুল্কমুক্ত সুবিধায় ইলিশের এ চালান ছাড় করা হবে বলে জানান তিনি।
ইলিশের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ঢাকার গাজীপুরের একুয়াটিক রিসোর্ট লিমিটেড। আমদানিকারক কলকাতার নাজ ইমপেক্স প্রাইভেট লিমিটেড।
বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো সুপার নাসিদুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রবিবার ইলিশ মাছ রপ্তানির খবর ছিল। কিন্তু ইলিশ রপ্তানির কোনো কাগজ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত কেউ আমাদের কাছে দাখিল করেনি। মাছের কোনো ট্রাকও আমাদের রিপোর্ট করেনি। তবে সোমবার সকালে দাখিল করবে বলে জানতে পেরেছি। কাগজপত্র দাখিল করলে দ্রুত পণ্য চালানটি ছাড় দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও সুসম্পর্ক বাড়াতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ৫০০ টন ইলিশ মাছ রপ্তানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। যদিও ২০১২ সালের আগ পর্যন্ত ভারতে ইলিশ রপ্তানি করা হতো। তবে দেশে ইলিশের উৎপাদন কমে যাওয়ায় ২০১২ সালের পরে ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় সরকার। সাত বছর পর পূজা উপলক্ষে ফের ইলিশ রপ্তানি করা হবে।