প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশের পরও এখন পর্যন্ত কেন সম্রাটকে (যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী ওরফে সম্রাট) আটক করা হয়নি—এমন প্রশ্ন তুলেছেন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্যসচিব ও সাংসদ শেখ ফজলে নূর তাপস।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শনিবার বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সাধারণ সভায় শেখ তাপস ওই প্রশ্ন রাখেন। সভা থেকে দেশ ও জাতির স্বার্থে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী আইনজীবীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার ও দুর্নীতিবাজদের যেকোনো মূল্যে আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানানো হয়।
শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দেওয়ার পরও কেন এখন পর্যন্ত সম্রাটকে আটক করা হয়নি? কেন এ নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি করা হচ্ছে? তাঁকে বাঁচানোর জন্য কারা ষড়যন্ত্র করছে, পাঁয়তারা করছে—এগুলো আমাদের দেখতে হবে।’ সরকারদলীয় এই সাংসদ বলেন, ‘বেসিক ব্যাংককে ডুবিয়েছে আবদুল হাই বাচ্চু। আজ পর্যন্ত কেন দুর্নীতি দমন কমিশন তার বিরুদ্ধে মামলা করেনি, তাকে আটক করেনি?’
আবদুল হাই ওরফে বাচ্চু ব্যাংকটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকার সময় প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুদক আবদুল হাইকে অন্তত চার দফা জিজ্ঞাসাবাদ করে।
শনিবারের অনুষ্ঠানে ফজলে নূর আরও বলেন, ‘প্রশ্ন জাগে, সিটি করপোরেশনের এই ব্যর্থতা কেন? মশা মারার অর্থ কাদের পকেটে যায়? কে বা কারা এই প্রকল্প থেকে ২০ ভাগের বেশি টাকা আগেই পকেটস্থ করে? তাদের বিরুদ্ধে আগে ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রকল্পের বালিশের দাম চড়া করে সেই প্রকল্প ভাগাভাগি করার পাঁয়তারা করা হয়। সরকারের পেছনে, নেপথ্যে কারা এই ষড়যন্ত্রকারী?’
এর আগে ২০১৭ সালের ২১ মে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সম্মেলন প্রস্তুতির জন্য ১৫১ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। শনিবার প্রথম সাধারণ সভা হয়। প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনের সভাপতিত্বে বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ওই সভা চলে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার, সৈয়দ রেজাউর রহমান, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এ এফ এম মেসবাহউদ্দিন, সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও সাহারা খাতুন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিন ও আজহার উল্লাহ ভূঁইয়া বক্তব্য দেন।