ক্যাসিনো কেলেঙ্কারির অন্যতম হোতা খালেদ হোসেন সম্রাট, জি কে শামীম, সেলিম প্রধানদের নিজ নিজ পার্টি থেকে বহিষ্কারের পর থেকেই প্রশ্ন উঠেছে, লোকমান হোসেনের কী হবে? তিনি তো একাধারে মোহামেডান ক্রিকেট ক্লাবের ডিরেক্টর ইনচার্জ এবং বিসিবির পরিচালক। তিনি কি পার পেয়ে যাবেন? নাকি তাকে পদচ্যুত করা হবে?
এসব প্রশ্ন ভাসছিল বাতাসে। এর জবাবে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য না পাওয়া গেলেও, ধারণা পাওয়া গেছে খানিক। যেহেতু বিষয়টা এখনও বিচারাধীন তাই বিসিবির পদ থেকে আপাতত তার বহিষ্কার বা পদচ্যুত হওয়ার সম্ভাবনা বেশ কম। তবে তার জন্য বিসিবির স্ট্যান্ডিং (ফ্যাসিলিটিজ) কমিটিতে থাকা এখন বেশ কঠিনই বটে।
আজ (সোমবার) মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে জালাল উনুস বলেন, ‘পরবর্তী বোর্ড মিটিংয়ে এ বিষয়ে আলোচনা হবে।’ তার কথাবার্তায় টের পাওয়া যায় এখনই হয়তো বিসিবির পরিচালক পদ থেকে বাদ পড়বেন না লোকমান। তবে বিসিবির ফ্যাসিলিটিজ পদের চেয়ারম্যান হয়ে আর থাকা হবে না তার।
মূলত লোকমান হোসেনের বিষয়ে এখনই কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না বিসিবি। কেননা ক্যাসিনো ও মাদক ব্যবসার কারণে দায়েরকৃত মামলার পুরোটাই দেখছে এখন রাষ্ট্র। ফলে রাষ্ট্রের যেকোনো সিদ্ধান্তই মেনে নিতে হবে বিসিবিকে। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রের বিচারে লোকমান দোষী সাব্যস্ত হলে, তবেই কোনো ব্যবস্থা নিতে পারবে বিসিবি। অন্যথায় নিরপরাধ কারও বিরুদ্ধে কিছু করার সুযোগ নেই।
বিসিবির গঠনতন্ত্রের সপ্তম অধ্যায়ের ২৪, ২৫নং অনুচ্ছেদে আচরণ ও শৃঙ্খলার ব্যাপারে স্পষ্টত উল্লেখ আছে কারও বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গ বা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেলে বিসিবির পরিচালনা পরিষদ কর্তৃক গঠিত কমিটি এ বিষয়ে তদন্ত করবে এবং যথাযথ শাস্তি প্রণয়ন করবে। এসময় অভিযুক্ত ব্যক্তি বা সংস্থাকেও আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হবে।
কিন্তু লোকমান হোসেনের মামলা যেহেতু রাষ্ট্রপক্ষের দায়েরকৃত এবং দেশের প্রচলিত আইনেই এর বিচার হবে, তাই এ বিচারের পর আর তেমন কিছু করতে হবে না বিসিবিকে। লোকমাস হোসেন বিচারে অপরাধী প্রমাণিত হলে বিসিবির আচরণবিধিতে উল্লেখিত শাস্তি পাবেন অন্যথায় থেকে যাবেন স্বাভাবিকভাবেই।