র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের অফিসের সামনে থেকে আটক করা সেই তিন যুবককে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। তিনজনের মধ্যে একজন যুবলীগের কর্মী ও বাকি দুজন সম্রাটের ভক্ত।

রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল ইসলাম আজ সোমবার দুপুরে দৈনিক আমাদের সময় অনলাইনকে এসব কথা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘গতকাল সম্রাটের কার্যালয়ের সামনে পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার তিনজনকে আজ কোর্টে পাঠানো হয়েছে। তিনজনের মধ্যে একজন যুবলীগের কর্মী। বাকি দুজন সম্রাটের ভক্ত।’

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- শেখ এনায়েত হোসেন টুটুল, আমিনুল্লাহ ভূঁইয়া ও মো. মিজানুর রহমান।

এর আগে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের অফিসে অভিযান শেষে তাকে যখন গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন এই তিন যুবক বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন ও হৈ চৈ করেছিলেন। ওই সময়েই তাদের আটক করে রমনা থানায় নিয়েছিল পুলিশ।

রমনা থানার ওসি মাইনুল ইসলাম জানান, থানায় নেওয়ার পর আটককৃতদের বিরুদ্ধে ১৫১ ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ তাদের আদালতে পাঠানো হয়।

উল্লেখ্য, রোববার ভোর ৫টার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রাম থেকে সম্রাটকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার সহযোগী যুবলীগের আরেক নেতা আরমানকেও গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের ঢাকায় আনা হয়।

এদিন রোববার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সম্রাটের কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে একটি পিস্তল, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, ইয়াবা ও দুটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া উদ্ধার করে র‌্যাব। ক্যাঙারুর চামড়া সংরক্ষণের অপরাধে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনে সম্রাটকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম। রাতেই তাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।