বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের (২১) মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করার কথা জানিয়েছে ছাত্রলীগ। একই সঙ্গে এ ঘটনায় ছাত্রলীগের কারও বিন্দুমাত্র সম্পৃক্ততা থাকলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ারও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে সংগঠনের পক্ষ থেকে।
আজ সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এ তথ্য জানান। এ সময় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, ‘আবরার হত্যার ঘটনায় দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।’
এর আগে আবরারের লাশের ময়নাতদন্ত শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, ‘আবরার ফাহাদের শরীরে অনেকগুলো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তার হাতে, পায়ে ও পিঠে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এই আঘাতের কারণে রক্তক্ষরণ ও পেইনেই তার মৃত্যু হয়েছে।’
এর আগে বুয়েটের শেরে বাংলা হল থেকে আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। গতকাল রোববার দিবাগত রাত ৩টার দিকে হলের নিচতলা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
কে বা কারা আবরারকে হত্যা করেছে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ। তবে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বুয়েটের দুজন শিক্ষার্থীকে আটক করার কথা জানিয়েছে চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাব হোসেন।
একাধিক পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হেফাজতে নেওয়া দুজন হলেন-বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফুয়াদ হোসেন। তারা দুজনই বুয়েটের শিক্ষার্থী। শেরে বাংলা হলে থাকেন।