মোঃ জহিরুল হক বাবু, বুড়িচং।।
ভ্যানগাড়ীতে বিদ্যুতের মিটার, তাঁর, লাইট ও মাইক লাগিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় আলোর ফেরিওলা নামে বিদ্যুৎ অফিসের লোকজনদের। মাইকে বলা হয় ৭২ ঘন্টার মধ্যেই দেয়া হবে বিদ্যুৎ সংযোগ। বাস্তবে তাঁর উল্টো চিত্র বুড়িচং উপজেলায়। আবেদনের ৪৩৩ দিন অর্থ্যাৎ ১০ হাজার ৮০ঘন্টার পরেও বিদ্যুৎ সংযোগ পায়নি সাধারণ এক গ্রাহক।


ভূক্তভোগী গ্রাহক সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ইং সালের ২৯ জুলাই কুমিল্লা পল্লী সমিতি-২ এর বুড়িচং অফিসে আবাসিক এবং বানিজ্যিক মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন করে এবং যথাযথ নিয়মে অফিসে গিয়ে আবেদন ফি, মিটার ফি এবং ওয়্যারিং রিপোর্ট জমা করেন বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের ভরাসার গ্রামের মোঃ মোসলেহ উদ্দিন। কিন্ত দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের অবহেলায় ৪৩৩দিন পরেও মিটারগুলো সংযোগ না দেওয়ায় আবেদনকারী গত ৭ অক্টোবর বুড়িচং পল্লী বিদ্যূৎ অফিসের ডিজিএম মোঃ ফখর উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করে মিটার সংযোগের জন্য অনুরোধ করলে তার কথায় কর্ণপাত না করে নতুন করে আবার আবেদন করার কথা বলেন। অভিযোগকারী মোসলেহ উদ্দিন জানান, তিনি ২০১৮ ইং সালের ২৯ জুলাই বুড়িচং পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে আবাসিক ও বানিজ্যিক দুটি মিটারের জন্য আবেদন করে। আবাসিক মিটারের আবেদন নং- ২৫০১২ এবং বানিজ্যিক মিটারের আবেদন নং- ২৫০১৩। আবেদন করার ৪৩৩ দিন পার হওয়ার মধ্যে বেশ কয়েকবার অফিসে আমার মিটার সংযোগের জন্য যোগাযোগ করি। দায়িত্বশীলরা আজ নয় কাল এভাবে ঘুরাতে থাকে। এই বিষয়ে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির-২ এর বুড়িচং অফিসের ডিজিএম মোঃ ফখর উদ্দিন বলেন, আমাদের অফিসে কোন আবেদীত কোন মিটার সংযোগের বাকি নেই। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে আসলে নির্ধারিত সময়ে সংযোগ প্রদান করা হয়।