ইরানের সেনাবাহিনী পশ্চিম আজারবাইজান প্রদেশের উরুমিয়েতে আকস্মিক সামরিক মহড়া শুরু করেছে। বুধবার দেশটির সেনাবাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মুসাভি এই মহড়া উদ্বোধন করেছেন।
এতে উন্নত ট্যাংক, কামান ও হেলিকপ্টারসহ বিভিন্ন ধরনের উন্নত অস্ত্র অংশ নিচ্ছে। শত্রুর মোকাবেলায় সেনাবাহিনীর পদাতিক ইউনিটের তাৎক্ষণিক জবাবের বিষয়টি এই মহড়ায় গুরুত্ব পাচ্ছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেজর জেনারেল মুসাভি বলেছেন, ইরানের সেনাবাহিনীর মূল দায়িত্ব হচ্ছে স্বাধীনতা ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষা করা। শত্রুদের জেনে রাখা উচিত ইরানের স্থল ও আকাশ সীমা হচ্ছে সেনাবাহিনীর রেড লাইন। ইরানের ভূখণ্ডে যেকোনো আগ্রাসনের কঠোর ও দাঁতাভাঙা জবাব দেয়া হবে।
মহড়ায় সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট তাদের সর্বাত্মক প্রস্তুতির বিষয়টি প্রমাণ করেছে বলে তিনি জানান। জেনারেল মুসাভি বলেন, সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটকে গত মধ্যরাতে হঠাৎ মহড়ার বিষয়টি অবহিত করা হয়। এরপর স্বল্প সময়ের মধ্যে তারা মহড়াস্থলে পৌঁছে যায় এবং নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হয়।
হঠাৎ কোনো যুদ্ধ শুরু হলে যাতে কোনো ধরনের ইতস্তত ছাড়াই দেশকে রক্ষার পাশাপাশি উপযুক্ত জবাব দেয়া যায় সাধারণত সে লক্ষ্যেই এ মহড়া। পার্সট্যুডে।