আমরা হেডফোন তো কানেই গুঁজে রাখি। গান শোনা, কথা বলা, সিনেমা দেখা- সব কাজেই হেডফোনের ব্যবহার করা হয়। গবেষকরা এতে কানের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করেছেন। সেই আশঙ্কা থেকেই এবার ব্যতিক্রমী হেডফোন তৈরি করা হয়েছে। যা আপনার কানে পরতে হবে না। কানের ঠিক সামনেই পরা যাবে এ হেডফোন।

বাড়ি, রাস্তা, ব্যস্ততা, কোলাহলে হেডফোন ব্যবহার করেন অনেকেই। ফোন ধরার ঝামেলা এড়াতে এটি ব্যবহৃত হয়। হেডফোন প্রায় সব ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয়। কিন্তু হেডফোনের সবচেয়ে বড় সমস্যা, এটি পরলে বাইরের কোন শব্দ আর কানে আসে না। ফলে দুর্ঘটনা, কানে ব্যথা, শ্রবণশক্তি কমার মতো অসংখ্য সমস্যা হতে থাকে।

তবে এবার আপনি গান শুনবেন কানের ভেতরে হেডফোন দিয়ে নয়। বরং কানের পাশের হাড়ের মাধ্যমে। বিদেশি প্রতিষ্ঠান আফটারশক্জ ২০১৬ সাল থেকেই এ রকম হেডফোন তৈরি করে আসছে। এগুলো দেখতে ব্লুটুথ হেডফোনের মতোই। কানে পরলে এটি কানের মধ্যে ঢুকে যায় না। কানের ঠিক সামনেই এঁটে থাকে।

head-cover

সাধারণ হেডফোনের চেয়ে এর আওয়াজ কিছুটা আলাদা। ২০ কিলোহার্টজ থেকে ২০ হাজার কিলোহার্টজ পর্যন্ত এর রেঞ্জ। যা আমাদের সর্বাধিক শ্রবণ ক্ষমতার সমান। এতে রয়েছে ওয়েদার শিল্ড। ফলে ধুলা-বৃষ্টি কোন কিছুতেই এ হেডফোন ব্যবহারে সমস্যা নেই। এতে কান থাকে একদম খোলা। তাই বাইরের সব আওয়াজ শুনতে কোন সমস্যা হয় না।

কিন্তু কিছুটা সতর্কতার সঙ্গে এটি ব্যবহার করলে সাধারণ হেডফোনের থেকে এর ক্ষতি অনেকটাই কম। অনেক ক্ষেত্রে শান্ত, চুপচাপ কোন জায়গায় হেডফোনে গান শুনলে তার আওয়াজ পাশের লোকজন শুনতে পায়। কিন্তু এতে সে রকম হওয়ার সুযোগ নেই। ৪টি মডেলের এ হেডফোনের দাম ৫ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা।