শিরোনাম পড়েই অবাক হলেন? উড়িয়ে দিলেন খুশিমতো। বললেন, হৃদরোগের ভয়ে মোবাইল ছেড়ে দেব? এ তো অসম্ভব। কেননা মোবাইল হয়ে উঠেছে আপনার সারাক্ষণের আরাধনা। অথচ চুপিসারেই ক্ষতি করছেন নিজের। সে দিকে হয়তো খেয়াল নেই। আর যখন টের পেলেন; তখন হাতে সময়ও নেই।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, যারা দিনে পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় মোবাইল ব্যবহার করেন, তাদের মধ্যে মোটা হওয়ার প্রবণতা বেশি। আর মোটা হলে বা ওজন বাড়লে হৃদরোগের ঝুঁকি রয়েছে। এছাড়াও নানা রোগ-ব্যাধি তখন ঘিরে ধরে তার শরীর। তাই বিজ্ঞানীরা পরামর্শ দিয়েছেন মোবাইল থেকে দূরে থাকার।
গবেষণা বলছে, কলম্বিয়ায় ১০৬০ জন শিক্ষার্থীর ওপর সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। তাদের বয়স ১৯-২০ বছরের মধ্যে। দেখা গেছে, মোবাইল প্রযুক্তি মানুষের ব্যবহারে প্রভাব ফেলছে। খাদ্যাভ্যাস বদলে দিচ্ছে। জীবন ধারণের দৃষ্টিভঙ্গী বদলে দিচ্ছে। যার প্রভাব পড়ছে ওই শিক্ষার্থীদের ওজনে বা শরীরে।
কলম্বিয়ার সিমোন বলিভিয়ার ইউনিভার্সিটির গবেষক মিরারি ম্যানটিলা মোরোন জানান, যারা মোবাইল ফোন দিনে অনেকক্ষণ ব্যবহার করেন। তাদের মধ্যে ৪৩ শতাংশ মোটা হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাড়ছে স্ন্যাক্স, মিষ্টি, ফাস্ট ফুড খাওয়ার প্রবণতাও। দিনের মধ্যে বেশিরভাগ সময় মোবাইলে কাটানোর ফলে শরীরচর্চার প্রবণতাও কমে গেছে। সমীক্ষা বলছে, যারা মোবাইল কম ঘাঁটেন, তাদের মধ্যে মোটা হওয়ার প্রবণতা অপেক্ষাকৃত কম।
অন্য এক গবেষণার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিছু মোবাইল ১৫ মিনিটের বেশি কানের পাশে থাকলে মস্তিষ্কে ক্যানসার হওয়ার ভয় আছে। তাই মোবাইল ফোন কেনার সময় ‘স্পেসিফিক অ্যাবজর্পশন রেট’ বা ‘এসএআর’র মাত্রা দেখা উচিত। ‘এসএআর’এর মাত্রা ১.৬-এর বেশি হলে সেই মোবাইল ব্যবহার না করাই ভালো।